সোমবার নোয়াখালীর মাইজদী
এলাকা থেকে মেহেদী হাসান আশিক রব্বানী ওরফে বাবুকে (২০) গ্রেপ্তার করা হয়।
আকবর শাহ থানার ওসি
জহির হোসেন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, ঘটনার পর মেহেদী চট্টগ্রাম থেকে পালিয়ে
নোয়াখালীর সুধারাম থানার মাইজদীর ফতেপুর এলাকায় তার খালার বাসায় আশ্রয় নিয়েছিলেন। ভোরে
তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
ওসি বলেন, “গ্রেপ্তারের
পর মেহেদী ধর্ষণের ঘটনায় জড়িত ছিল বলে স্বীকার করেছে। ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিতে স্বীকৃতি
জানানোয় বিকালে তাকে আদালতে পাঠানো হয়েছে।”
মামলার প্রধান আসামি
রাকিবুল হাসান ওরফে আরিয়ানকে গত ১৬ ডিসেম্বর চট্টগ্রাম নগরী থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
নগরীর আকবর শাহ থানার
পূর্ব ফিরোজ শাহ কলোনীর একটি বাসায় গত ১১ ডিসেম্বর এ ঘটনা ঘটে বলে অভিযোগ করে থানায়
মামলা করেছেন ওই কলেজ ছাত্রীর মা। যে বাসায় ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে সেটি মেহেদীর।
মামলায় বলা হয়, আরিয়ানের
সাথে তার দ্বাদশ শ্রেণি পড়ুয়া মেয়ের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। কিন্তু বাসা থেকে এ নিয়ে
নিষেধ করায় ওই কলেজছাত্রী আরিয়ানকে এড়িয়ে চলতে শুরু করে।
গত ১১ ডিসেম্বর বিকালে
ওই কলেজছাত্রী বই কেনার জন্য বাসা থেকে জিইসি মোড়ে যাওয়ার সময় আরিয়ান তাকে ফোন করে
মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় আহত হয়েছে এবং পূর্ব ফিরোজ শাহ কলোনিতে তার বন্ধু মেহেদীর বাসায়
আছে জানিয়ে দেখা করতে বলেন।
ওই কলেজছাত্রী সেখানে
গেলে তাকে জোর করে দুইজন মিলে ধর্ষণ করে বলে অভিযোগ করেন তার মা।
ওই ছাত্রীর মা মামলায়
বলেছেন, মেহেদীর বাসায় এ ঘটনা ঘটার সময় বাসায় আর কেউ ছিলেন না। তার মেয়ের চিৎকার-চেঁচামেচি
করলে তা যেন বাইরে যেন শোনা না যায় সেজন্য উচ্চ স্বরে গান ছেড়ে দিয়েছিল তারা।
স্থানীয়রা জানায়, অভিযুক্ত
আরিয়ান ও মেহেদী দুইজনই এলাকায় ‘বখাটে হিসেবে পরিচিত’। স্থানীয় এক যুবলীগ নামধারী ব্যক্তির
প্রশ্রয়ে তারা ‘বেপরোয়া জীবন যাপন’ করছিলেন।