২০১৯ সালের অক্টোবরের ওই ঘটনায় লরির শীততাপ নিয়ন্ত্রিত যে ট্রেইলারের ভেতর লাশগুলো পাওয়া যায় সেটি বেলজিয়ামের জিব্রুগা বন্দর থেকে যুক্তরাজ্যের টেমস নদীর পারফ্লিট নদীবন্দরে এসেছিল।
স্থানীয় সময় রাতে লরি ও ট্রেইলারটি পারফ্লিটের বন্দর ত্যাগ করে। এরপর সেই রাতেই অ্যাম্বুলেন্স কর্মীরা নিকটবর্তী গ্রেইস শহরের ওয়াটারগ্লেইড শিল্প পার্ক এলাকায় ট্রেইলারটির ভিতরে মৃতদেহগুলো পায়।
১০ সপ্তাহ বিচারের চলার পর সোমবার ওল্ড বেইলি আদালতের জুরি ওই ঘটনায় লরি চালক এমোন হ্যারিসন (২৪) এবং মানব পাচারকারী জর্জ নিকাকে নরহত্যার অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত করেছে। তাদের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হতে পারে।
এছাড়া, মানব পাচারে জড়িত থাকার জন্য আরও দুইজন দোষী সাব্যস্ত হয়েছে বলে জানিয়েছে বিবিসি।
বিচারে এই চক্রের মানবপাচারের চেষ্টার তিনটি ঘটনা খতিয়ে দেখা হয়েছে। যার দুটোতেই তারা সফল হয়েছিল। শেষেরবারের চেষ্টায় তারা ধরা পড়ে।
২০১৯ সালের ২৩ অক্টোবরে লন্ডনের এসেক্সে একটি রেফ্রিজারেটর লরির ভেতর থেকে ৩৯ জনের লাশ উদ্ধারের পর পুলিশ চালকসহ মোট পাঁচজনে গ্রেপ্তার করেছিল।
লরির ভেতর থাকা মৃতদেহগুলোর মধ্যে দুই বালকসহ ৩১ জন পুরুষ ছিল, বাকিরা ছিলেন নারী। নিহত সবাই ছিলেন ভিয়েতনামের নাগরিক।
যুক্তরাজ্যে ট্রাকে ৩৯ লাশ: ‘কঠোর শাস্তি’ দাবি চীনের