কোভিড-১৯ ঝুঁকির মধ্যেও বাংলাদেশ ২০২৪ সালের মধ্যে উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদায় অধিষ্ঠিত হবে বলে মন্তব্য করেছেন কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক। রবিবার বাংলাদেশ কৃষি অর্থনীতিবিদ সমিতির আয়োজিত ‘অষ্টম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনা (২০২১-২০২৫): কৃষি, বন, পানি সম্পদ, নিরাপদ খাদ্য ও পুষ্টি নিরাপত্তা’ শীর্ষক এক ভার্চুয়াল আলোচনা সভায় কৃষিমন্ত্রী এ কথা বলেন।
বাংলাদেশ কৃষি অর্থনীতিবিদ সমিতির সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সাবেক সিনিয়র সচিব সাজ্জাদুল হাসানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে কৃষিমন্ত্রী ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক এমপি উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক এমপি। এ সময় মূল বক্তা হিসেবে প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সাধারণ অর্থনীতি বিভাগের সিনিয়র সচিব ও পরিকল্পনা বিভাগের সদস্য প্রফেসর ড. শামসুল আলম।
তিনি তার উপস্থাপনায় আগামীতে কৃষি খাতের মূল চ্যালেঞ্জগুলো মোকাবেলা করে সম্ভাব্য সমাধানের রূপরেখা তুলে ধরেন। তিনি আগামীর চাহিদা মোকাবেলায় নিরাপদ খাদ্য ও পুষ্টি সমৃদ্ধ খাদ্য নিরাপত্তা বিধানের উপর আলোকপাত করেন।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে কৃষিমন্ত্রী বলেন, কোভিড-১৯ ঝুঁকির মধ্যেও বাংলাদেশ ২০২৪ সালের মধ্যে উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদায় অধিষ্ঠিত হবে। দক্ষ মানব সম্পদ উন্নয়নের ওপর জোর দিয়ে তিনি বলেন, দক্ষ মানব সম্পদ গড়ে তোলার মাধ্যমে ফ্রন্ট লাইন রিসার্চ আরও উন্নত হবে। অষ্টম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা বাস্তবায়নে কৃষিতে বাণিজ্যিকীকরণ, যান্ত্রিকীকরণ, বহুমুখীকরণ ও রপ্তানি উন্নয়নে জোর দিতে হবে। বাংলাদেশ সমগ্র বিশ্বে উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছে। তিনি এ জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দক্ষ ও বিচক্ষণ নেতৃত্বের ভূয়সী প্রশংসা করেন।
বিশেষ অতিথি তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক এমপি বলেন, আইসিটি আজ শুধু কৃষিতেই ব্যবহৃত হচ্ছে না, এটি শিক্ষা, বাণিজ্য, বিচার বিভাগসহ সকল ক্ষেত্রে ভালভাবে ব্যবহৃত হচ্ছে।
সভাপতি সাজ্জাদুল হাসান আগামীর আধুনিক কৃষিতে ‘স্মার্ট এগ্রিকালচার, আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্স, ইন্টারনেট অব থিংস’ এর প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরেন।
এ ভার্চুয়াল আলোচনা সভায় দেশে-বিদেশে অবস্থানরত প্রথিতযশা কৃষি অর্থনীতিবিদগণ, বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের সচিববৃন্দ, বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যবৃন্দ, বিভিন্ন কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনিয়র শিক্ষকবৃন্দ, বিভিন্ন দপ্তর, অধিদপ্তরের প্রধান কর্মকর্তাগণ, স্বনামধন্য অধ্যাপকবৃন্দ এবং বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তাগণ অংশগ্রহণ করেন।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন সমিতির মহাসচিব প্রফেসর ড. মোহাম্মদ মিজানুল হক কাজল এবং ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন জ্যেষ্ঠ সহ-সভাপতি জনাব শুভঙ্কর সাহা।
ইত্তেফাক/জেডএইচডি