এ সময় তাপমাত্রা বাড়লেও কোথাও কোথাও শৈত্যপ্রবাহের রেশ থাকতে পারে বলে আভাস দিয়েছেন আবহাওয়াবিদরা।
টানা পাঁচ দিন ধরে দেশের উত্তরাঞ্চলসহ বিস্তীর্ণ এলাকায় মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের শৈত্যপ্রবাহ বিরাজ করছে। শনিবার রাজারহাটের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৬ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসে নামার পর গত দুদিনে তাপমাত্রা সামান্য বেড়েছে। তবে তীব্র শীতে ভুগতে হচ্ছে কিছু এলাকার মানুষকে।
মঙ্গলবার দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় ৭ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ঢাকায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা নামে ১২ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসে।
আবহাওয়াবিদ ওমর ফারুক জানান, ধীরে ধীরে শৈত্যপ্রবাহের বিস্তার কমে এসেছে, তাপমাত্রাও বাড়ছে। এখনও গোপালগঞ্জ, কুমিল্লা, তেঁতুলিয়া, রাজারহাট ও চুয়াডাঙ্গায় মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা অব্যাহত থাকতে পারে।
“উত্তুরে হাওয়ার সঙ্গে ঘন কুয়াশার দাপটে শীতের অনুভূতি তুলনামূলকভাবে বেশি হচ্ছে। ডিসেম্বরের বাকি সময়ও শীতের এমন দাপট থাকবে। কয়েকটি জায়গায় তাপমাত্রা বাড়বে, আবার কোথাও মৃদু শৈত্যপ্রবাহ রয়ে যাবে।”
ঘন কুয়াশায় দিন ভর সুর্যের দেখা না মেলায় শীতের অনুভূতি তীব্র হচ্ছে বলে জানান এ আবহাওয়াবিদ।
বুধবারের আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, সারাদেশের আবহাওয়া শুষ্ক থাকবে। মধ্যরাত থেকে সকাল পর্যন্ত দেশের নদী অববাহিকায় মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা থাকতে পারে এবং দেশের অন্যত্র হালকা থেকে মাঝারি কুয়াশা থাকতে পারে।
বড় এলাকা জুড়ে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা নেমে ৮ থেকে ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে চলে এলে তাকে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ; থার্মোমিটারের পারদ ৬ থেকে ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে নেমে এলে তাকে মাঝারি এবং সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৪ থেকে ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে হলে তীব্র শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে বলে ধরা হয়।
আবহাওয়াবিদ ওমর ফারুক বলেন, অন্তত ২৭ ডিসেম্বর পর্যন্ত দেশের উত্তরাঞ্চলে শীতের প্রকোপ থাকবে। এসময় কোথাও কোথাও তাপমাত্রাও বাড়বে। আর বাংলাদেশে শীতের দাপট মূলত চলে জানুয়ারি মাসজুড়ে।