ভবনগুলো নির্মাণের ক্ষেত্রে তিনি গ্রিক, রোমান বা এ ধরনের ধ্রুপদী স্থাপত্যশৈলীকে অগ্রাধিকার দেওয়ার কথা বলেছেন বলে জানিয়েছে বিবিসি।
ট্রাম্পের এ নির্বাহী আদেশে বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের এখনকার অনেক ফেডারেল ভবনের মধ্যেই গত শতকের ‘পাশবিক’ স্থাপত্যশৈলীর প্রতিফলন রয়েছে।
নতুন ভবনগুলো হোয়াইট হাউসের মতো যুক্তরাষ্ট্রের ‘অতি প্রিয়’ স্থাপনাগুলোর মতো হওয়া উচিত বলেও এতে মন্তব্য করা হয়েছে।
সনাতনপন্থিরা নতুন এ আদেশকে স্বাগত জানালেও অনেকে ট্রাম্পের এ পদক্ষেপে অসন্তোষও জানিয়েছেন।
আমেরিকান ইনস্টিটিউট অব আর্কিটেক্টস জানিয়েছে তারা ‘দ্ব্যর্থহীনভাবে’ এ উদ্যোগের বিরোধিতা করছে।
‘প্রোমোটিং বিউটিফুল ফেডারেল সিভিক আর্কিটেক্ট’ নামের এই আদেশ নতুন একটি পরিষদ সৃষ্টি করবে, যা ভবিষ্যৎ ফেডারেল ভবনগুলো নিয়ে প্রেসিডেন্টকে পরামর্শ দিতে পারবে।
নভেম্বরের নির্বাচনে জো বাইডেনের কাছে পরাজিত হওয়া ট্রাম্পের এ নির্বাহী আদেশে বলা হয়েছে, সাম্প্রতিক সময়ে ওয়াশিংটন ডিসিতে যে সরকারি ভবনগুলো নির্মিত হয়েছে সেগুলোতে ‘আধুনিক ও ধ্রুপদী স্থাপত্যের একটি বিচ্ছিরি সংমিশ্রণ’ দেখা যাচ্ছে, কিছু ব্যতিক্রম বাদ দিলে সরকার ‘মূলত সুন্দর ভবন বানানো বন্ধ করে দিয়েছে’।
“ধ্রুপদী ও চিরায়ত স্থাপত্যশৈলীর ব্যবহারকে নিরুৎসাহিত না করে উৎসাহিত করা উচিত,” আদেশে এমনটাই বলা হয়েছে।
ট্রাম্পের এ নির্বাহী আদেশের একটি খসড়া ফেব্রুয়ারিতে প্রথম প্রকাশিত হয়; আমেরিকান ইনস্টিটিউট অব আর্কিটেক্টস এবং ন্যাশনাল ট্রাস্ট ফর হিস্টোরিক প্রিজারভেশন সেসময়ও এ বিষয়ে আপত্তি জানিয়েছিল।
“যদিও আমরা প্রশাসনের স্থাপত্যশৈলী বেধে দেওয়ার এমন সিদ্ধান্তে হতবাক হয়েছি, তারপরও আদেশটির আওতা আগে যতখানি বড় মনে হয়েছিল, ততটা না হওয়ায় আমরা খুশি,” সোমবার দেওয়া বিবৃতিতে এমনটাই বলেছেন আমেরিকান ইনস্টিটিউট অব আর্কিটেক্টসের প্রধান রবার্ট আইভি।