এটি ‘নেওয়া নিরাপদ’, যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকদের কাছে এ বার্তা পৌঁছে দেওয়ার জন্যই তিনি টিকাটি নিয়েছেন বলে জানিয়েছেন।
ইতোমধ্যে দেশটির ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইক পেন্স, প্রতিনিধি পরিষদের স্পিকার ন্যান্সি পেলোসিসহ অনেক রাজনীতিক নেতা ফাইজারের এ টিকাটির প্রথম ডোজ নিয়েছেন বলে জানিয়েছে বিবিসি।
রোববার থেকে যুক্তরাষ্ট্রে মর্ডানার টিকাও বিতরণ শুরু হয়েছে। শনিবার দেশটির ওষুধ ও খাদ্য প্রশাসন (এফডিএ) এ টিকাটি ব্যবহারের অনুমতি দেয়।
এরই মধ্যে পাঁচ লাখেরও বেশি মার্কিন নাগরিককে টিকা দেওয়া হয়েছে বলে জানানো হয়েছে।
Today, I received the COVID-19 vaccine.
To the scientists and researchers who worked tirelessly to make this possible — thank you. We owe you an awful lot.
And to the American people — know there is nothing to worry about. When the vaccine is available, I urge you to take it. pic.twitter.com/QBtB620i2V
— Joe Biden (@JoeBiden) December 22, 2020
সোমবার ডেলাওয়্যার রাজ্যের নিউয়ার্ক শহরে টিকা নেওয়ার সময় বাইডেন বলেন, “আমি এটি করছি এটা দেখানোর জন্য যে যখন টিকা সহজলভ্য হবে তখন এটি নেওয়ার জন্য জনগণকে প্রস্তুত থাকতে হবে, এ নিয়ে উদ্বিগ্ন হওয়ার কিছু নেই।”
নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্টের টিকা নেওয়া টেলিভিশনে সরাসরি সম্প্রচার করা হয়।
যুক্তরাষ্ট্রের টিকা কর্মসূচী শুরু করার জন্য ট্রাম্প প্রশাসনের ‘কিছু কৃতিত্ব প্রাপ্য’ বলে এসময় মন্তব্য করেন তিনি।
বাইডেন জানান, তার স্ত্রী জিল বাইডেন এদিন আগেই টিকার প্রথম ডোজটি নিয়েছেন।
বাইডেনের রানিং মেট নবনির্বাচিত ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিস ও তার স্বামী ডগলাস এমহফ আগামী সপ্তাহে করোনাভাইরাস টিকার প্রথম ডোজটি নেবেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।
বাইডেনের টিম হোয়াইট হাউসে তাদের প্রশাসনের প্রথম ১০০ দিনে যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে ১০ কোটি লোককে কোভিড-১৯ টিকা দেওয়ার লক্ষ স্থির করেছে।
মহামারী শুরু হওয়ার পর থেকে এ পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রে শনাক্ত কোভিড-১৯ রোগীর সংখ্যা এক কোটি ৮০ লাখ ছাড়িয়ে গেছে এবং মৃত্যু হয়েছে তিন লাখ ১৯ হাজার লোকের।
অক্টোবরে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে তিন দিন হাসপাতালে ছিলেন বর্তমান প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প। তিনি কবে টিকা নিবেন তা এখনও জানাননি। যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচিত অবশিষ্ট শীর্ষ কর্মকর্তাদের মধ্যে যারা টিকাটির দুটি ডোজের প্রথমটি এখনও নেননি তাদের মধ্যে ট্রাম্প অন্যতম।