নগরীর ইপিজেড থানা
এলাকা থেকে চার যুবককে গ্রেপ্তারের পর পুলিশ এ তথ্য জানিয়েছে।
গ্রেপ্তাররা হলেন-
নূর হোসেন ওরফে ছক্কা বাবু, সাইফুল ইসলাম ওরফে সম্রাট, পরিতোষ ঋষি ওরফে ইসলাম হোসেন
ইমন, মেহেদী হাসান ওরফে সোহেল। তাদের বয়স ২১ থেকে ২৩ বছরের মধ্যে।
ইপিজেড থানার ওসি উৎপল
বড়ুয়া বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, গ্রেপ্তার চার যুবক বিকালে আদালতে স্বীকারোক্তি
দেওয়ার পর তাদেরকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
তিনি বলেন, “গ্রেপ্তার
যুবকদের দাবি, আলমগীর বিভিন্ন সময়ে শিশুদের শারীরিকভাবে ‘নিগৃহীত’ করতেন। গ্রেপ্তার
হওয়া কয়েকজন শিশু বয়সে তার দ্বারা আক্রান্ত হয়েছিল।”
গত শনিবার নগরীর ইপিজেড
থানার খেজুর তলা আউটার রিং রোড সংলগ্ন সাগর পাড় থেকে মো. আলমগীরের (৪৫) লাশ উদ্ধার
করে পুলিশ। যাকে ছুরিকাঘাতে হত্যার করে লাশ ফেলে রাখা হয়েছিল। লাশের পাশ থেকেই হত্যাকাণ্ডে
ব্যবহৃত ছুরিও উদ্ধার করা হয়।
নগর পুলিশের সহকারী
কমিশনার (বন্দর জোন) কৃর্তিমান চাকমা বলেন, লাশ উদ্ধারের পর থেকে পুলিশ তদন্ত শুরু
করে। সোমবার ইপিজেড থানার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তারদের কাছ থেকে
পাওয়া তথ্যের বরাতে তিনি বলেন, “শুক্রবার রাতে আলমগীর গ্রেপ্তার যুবকদের সঙ্গে সাগর
পাড়ে গল্প করেছিল। পাশাপাশি তারা সবাই মিলে গাঁজাও সেবন করেছিল।
“গাঁজা সেবনের পর তাদের
কয়েকজন মাতাল হওয়ায় আলমগীর সঙ্গে থাকা বাবুর শরীরে হাত দিলে দুজনের মধ্যে হাতাহাতি
হয়। এসময় আলমগীর অন্যদের শরীরে হাত দিলে সবাই মিলে তাকে মারধর করে।”
এক পর্যায়ে ইমন ও সোহেল
তাকে ছুরিকাঘাত করে জানিয়ে পুলিশ কর্মকর্তা কৃর্তিমান বলেন, গ্রেপ্তারদের মধ্যে কয়েকজন
কিশোর বয়সে আলমগীরের দ্বারা নিগৃহীত হওয়ার কথা জানিয়েছে।