বিবিসি জানায়, ইতোমধ্যে প্রায় ৭০০ অভিবাসী নাগরিকত্ব পেয়েছেন বা তা পাওয়ার প্রক্রিয়ার শেষ ধাপে আছেন। এ তালিকায় রয়েছেন, স্বাস্থ্যকর্মী, পরিচ্ছন্নতাকর্মী ও দোকান কর্মীরা।
গত সেপ্টেম্বরে দ্রুত নাগরিকত্ব দেওয়ার এ উদ্যোগের ঘোষণা দেয় ফ্রান্স। মহামারীর সময়টিতে যে অধিবাসীরা সম্মুখসারির যোদ্ধা হিসেবে ঝুঁকি নিয়ে কাজ করেছেন,তাদেরকে নাগরিকত্ব চেয়ে আবেদন করার আহ্বান জানিয়েছিল ফরাসি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয়।
এরপর সংশ্লিষ্ট দপ্তরে এ পর্যন্ত ২,৮৯০ টি আবেদন জমা পড়েছে। সেগুলো যাচাই-বাছাইয়ের প্রক্রিয়া এখনও চলছে। তবে তার মধ্যেই ৭৪ জন আবেদনকারীকে ফ্রান্সের পাসপোর্ট দেওয়া হয়েছে এবং আরও ৬৯৩ জন নাগরিকত্ব পাওয়ার প্রক্রিয়ায় চূড়ান্ত পর্যায়ে আছেন।
বিশ্বজুড়েই করোনাভাইরাস মোকাবেলায় সম্মুখসারিতে থাকা কর্মীদের কোভিড-১৯-এর সংস্পর্শে আসতে হচ্ছে। এরমধ্যে চিকিৎসক ও নার্সসহ অনেকে ভাইরাস আক্রান্ত হয়ে মারাও যাচ্ছেন।
ফ্রান্স বিশ্বে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত শীর্ষ ১০ দেশের একটি। দেশটিতে ২৫ লাখেরও বেশি মানুষ আক্রান্ত হয়েছে। মারা গেছে প্রায় ৬২ হাজার মানুষ।
মঙ্গলবার ফ্রান্সের নাগরিকত্ব বিষয়ক জুনিয়র মন্ত্রী বলেন, “স্বাস্থ্যকর্মী, পরিচ্ছন্নতাকর্মী, শিশুসেবা কর্মী, চেকআউট স্টাফ- প্রত্যেকেই মহামারীকালে দেশের প্রতি তাদের প্রতিশ্রুতি পালন করেছে। এখন তাদের জন্য এগিয়ে আসার পালা প্রজাতন্ত্রের।”
সাধারণ নিয়মে ফ্রান্সের নাগরিকত্বের জন্য আবেদন করার ক্ষেত্রে একজন অভিবাসীকে পাঁচ বছর দেশটিতে বাস করতে হয়, তার স্থিতিশীল আয় থাকতে হয় এবং ফরাসি সমাজের সঙ্গে তাকে খাপ খাইয়ে চলতে হয়।
তবে করোনাভাইরাস যোদ্ধা অভিবাসীদের ক্ষেত্রে এই নিয়ম প্রযোজ্য হবে না। তারা দুই বছর ফ্রান্সে বাস করলেই নাগরিকত্বের জন্য আবেদন করতে পারবেন।