আগামী ৩০ ডিসেম্বরের মধ্যে এই শরিয়াহভিত্তিক বন্ড বাব ‘সুকুক’ বাজারে আসবে বলে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে
অর্থ মন্ত্রণালয়।
সুকুক
একটি আরবি শব্দ, যার মাধ্যমে সিলমোহর দিয়ে কাউকে আইনি অধিকার দেওয়া বোঝায়। শরিয়াহভিত্তিক
ইসলামি বন্ড ‘সুকুক’ নামেই পরিচিত।
এই বন্ডের
মাধ্যমে
বাজার থেকে অর্থ সংগ্রহ করে সরকারের উন্নয়ন কাজে ব্যয় করা হবে।
প্রথমবারের
মত শরিয়াহভিত্তিক এই বন্ড ছাড়ার বিষয়ে মঙ্গলবার অর্থ বিভাগের সম্মেলন কক্ষে বাংলাদেশ ব্যাংক
ও অর্থ বিভাগের মধ্যে একটি দ্বিপক্ষীয় চুক্তি হয়।
বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক সিরাজুল ইসলাম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর
ডটকমকে বলেন, “সিদ্ধান্ত
হয়েছে, এ বন্ডের আকার হবে মোট ৮ হাজার কোটি টাকা। তার মধ্যে
প্রথমে ৪ হাজার কোটি টাকা ছাড়া হবে। পরে আবার ৪ হাজার কোটি টাকা ছাড়া হবে। মন্ত্রণালয়
সিদ্ধান্ত দেওয়ার সাথে সাথে আমরা এই বন্ড ছাড়ব।”
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে বিজয়ের মাসেই
অর্থ বিভাগ শরিয়াহভিত্তিক বিনিয়োগ চুক্তির আওতায় সুকুক ইস্যুর কার্যক্রম নেয় বলে অর্থ
মন্ত্রণালয় জানিয়েছে।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ইসলামিক ব্যাংকিং ব্যবস্থার
বিনিয়োগের সুযোগ সৃষ্টির জন্য সরকারের পক্ষ থেকে শরিয়াহভিত্তিক বন্ড ইস্যু করে এ খাতের
তারল্যকে সরকারের উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়নে অর্থায়নের উৎস হিসেবে ব্যবহার করা হবে।
এছাড়া সরকারি ঋণের পোর্টফোলিও সম্প্রসারণের মাধ্যমে ঝুঁকি কমানো এবং ব্যয় সাশ্রয়ে
সরকার ইসলামি বন্ড ‘সুকুক’ ছাড়ার এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
গত ৮ অক্টোবর সুকুক ইস্যু ও ব্যবস্থাপনা সম্পর্কিত নীতিমালায় অনুমোদন দেয়
সরকার। ওই নীতিমালার চতুথ অনুচ্ছেদে সরকার বাংলাদেশ ব্যাংককে এই বন্ডের ‘স্পেশাল পারপাস
ভেহিকল’ বা এসপিভি এবং ট্রাস্টি হিসেবে দায়িত্ব দিয়েছে।
বাংলাদেশ
ব্যাংক দুই দফায় বিনিয়োগকারীদের কাছে সুকুকের সার্টিফিকেট বিক্রি করবে। বিপরীতে
তারা মুনাফা পাবেন।
এসপিভি
হিসেবে বাংলাদেশ
ব্যাংক নীতিমালা অনুসরণ করে সুকুক ইস্যুর জন্য অর্থ বিভাগ থেকে পাওয়া প্রস্তাবের ওপর
শরীয়াহ অ্যাডভাইজরি কমিটির মতামত অথবা পরামর্শ নিয়ে তা বাস্তবায়নের উদ্যোগ নেবে।
এছাড়া সুকুক ধারকদের স্বার্থ ও অধিকার সুরক্ষাসহ সম্পদের ব্যবহার সংক্রান্ত প্রয়োজনীয়
প্রশাসনিক এবং তদারকি কার্যক্রম সঠিকভাবে পরিচালনার পাশাপাশি বিদ্যমান আইনি কাঠামোর
আওতায় সব বিরোধ নিষ্পত্তির দায়িত্বও বাংলাদেশ ব্যাংকের ওপর থাকবে।