বুধবার বিকালে সংবাদমাধ্যমে বিজ্ঞপ্তি পাঠিয়ে স্বাস্থ্য
অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে দেশে কোভিড-১৯ পরিস্থিতির এই সবশেষ তথ্য জানানো হয়।
সকাল ৮টা পর্যন্ত শনাক্ত ১ হাজার ৩৬৭ জনকে নিয়ে দেশে
করোনাভাইরাসে মোট আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে ৫ লাখ ৪ হাজার ৮৬৮ জন হয়েছে।
আর গত এক দিনে মারা যাওয়া ৩০ জনকে নিয়ে দেশে করোনাভাইরাসে
মোট মৃতের সংখ্যা ৭ হাজার ৩৫৯ জনে দাঁড়িয়েছে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হিসাবে বাসা ও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন
আরও ২ হাজার ৪১৬ জন রোগী সুস্থ হয়ে উঠেছেন গত এক দিনে। তাতে এ পর্যন্ত সুস্থ রোগীর
মোট সংখ্যা বেড়ে ৪ লাখ ৪৪ হাজার ৩৪৫ জন হয়েছে।
বাংলাদেশে করোনাভাইরাসের প্রথম সংক্রমণ ধরা পড়েছিল
গত ৮ মার্চ; তা ৫ লাখ পেরিয়ে যায় ২০ ডিসেম্বর। এর মধ্যে গত ২ জুলাই ৪ হাজার ১৯ জন কোভিড-১৯
রোগী শনাক্ত হয়, যা এক দিনের সর্বোচ্চ শনাক্ত।
প্রথম রোগী শনাক্তের ১০ দিন পর ১৮ মার্চ দেশে প্রথম
মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। ১২ ডিসেম্বর তা সাত হাজার ছাড়িয়ে যায়।
এর মধ্যে ৩০ জুন এক দিনেই ৬৪ জনের মৃত্যুর খবর জানানো হয়, যা এক দিনের সর্বোচ্চ মৃত্যু।
জনস হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের তালিকায় বিশ্বে শনাক্তের
দিক থেকে ২৭তম স্থানে আছে বাংলাদেশ, আর মৃতের সংখ্যায় রয়েছে ৩৩তম অবস্থানে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় সারা
দেশে ১১৪টি আরটি-পিসিআর ল্যাব, ১৯টি জিন-এক্সপার্ট ল্যাব ও ২৯টি র্যাপিড অ্যান্টিজেন
ল্যাবে অর্থাৎ সর্বমোট ১৬৩টি ল্যাবে ১৫ হাজার ৯৩২টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। এ পর্যন্ত
পরীক্ষা হয়েছে ৩১ লাখ ২২ হাজার ৪২৬টি নমুনা।
২৪ ঘণ্টায়
নমুনা পরীক্ষার বিবেচনায় শনাক্তের হার ৮ দশমিক ৫৮ শতাংশ, এ পর্যন্ত মোট শনাক্তের হার
১৬ দশমিক ১৭ শতাংশ। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৮৮ দশমিক ০১ শতাংশ এবং মৃত্যুর হার
১ দশমিক ৪৬ শতাংশ।
সরকারি ব্যবস্থাপনায় এ পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষা করা
হয়েছে ২৪ লাখ ৮২ হাজার ৫২২ টি। আর বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় হয়েছে ৬ লাখ ৩৯ হাজার ৯০৪টি।
গত এক দিনে যারা মারা গেছেন,তাদের মধ্যে ২১ জন পুরুষ
আর নারী ৯ জন। তাদের প্রত্যেকেই হাসপাতালে মারা গেছেন।
তাদের মধ্যে ১৮ জনের বয়স ছিল ৬০ বছরের বেশি, ৫ জনের
বয়স ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে, ৫ জনের বয়স ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে এবং ২ জনের বয়স ৩১
থেকে ৪০ বছরের মধ্যে ছিল।
মৃতদের মধ্যে ১৬ জন ঢাকা বিভাগের, ৯ জন চট্টগ্রাম
বিভাগের, ১ জন করে মোট ৩ জন রাজশাহী, খুলনা ও বরিশাল বিভাগের এবং ২ জন রংপুর বিভাগের
বাসিন্দা ছিলেন।
দেশে এ পর্যন্ত মারা যাওয়া ৭ হাজার ৩৫৯ জনের মধ্যে
৫ হাজার ৬০৭ জনই পুরুষ এবং ১ হাজার ৭৫২ জন নারী।
তাদের মধ্যে ৩ হাজার ৯৯৮ জনের বয়স ছিল ৬০ বছরের বেশি।
এছাড়া ১ হাজার ৮৭৫ জনের বয়স ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে, ৮৬৬ জনের বয়স ৪১ থেকে ৫০ বছরের
মধ্যে, ৩৭১ জনের বয়স ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে, ১৫৯ জনের বয়স ২১ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে,
৫৬ জনের বয়স ১১ থেকে ২০ বছরের মধ্যে এবং ৩৪ জনের বয়স ছিল ১০ বছরের কম।
এর মধ্যে ৪ হাজার ২১ জন ঢাকা বিভাগের, ১ হাজার ৩৭২
জন চট্টগ্রাম বিভাগের, ৪৩১ জন রাজশাহী বিভাগের, ৫১৯ জন খুলনা বিভাগের, ২৩৬ জন বরিশাল
বিভাগের, ২৯০ জন সিলেট বিভাগের, ৩৩১ জন রংপুর বিভাগের এবং ১৫৯ জন ময়মনসিংহ বিভাগের
বাসিন্দা ছিলেন।