ক্যাটাগরি

করোনাভাইরাস: প্রণোদনা বিলে সংশোধনী আনতে বললেন ট্রাম্প

মঙ্গলবারে টুইটারে দেওয়া এক ভিডিও বার্তায় তিনি কংগ্রেস সদস্যদেরকে প্রণোদনা বিল থেকে ‘অযথা ও অপ্রয়োজনীয় অনুচ্ছেদগুলো’ ছেঁটে ফেলতেও বলেন বলে জানিয়েছে বিবিসি।

ট্রাম্প ৯০ হাজার কোটি ডলারের এ প্যাকেজকে ‘অপমানজনক’ হিসেবে অ্যাখ্যা দিয়েছেন।

“একে ডাকা হচ্ছে কোভিড সহায়তা বিল, অথচ এর সঙ্গে কোভিডের তেমন কোনো যোগসূত্রই নেই,” বলেছেন এ রিপাবলিকান।  

করোনাভাইরাসে অর্থনৈতিকভাবে বিপর্যস্ত সাধারণ মানুষের সহায়তায় কংগ্রেসে পাস হওয়া প্রণোদনা প্যাকেজটিতে বেশিরভাগ নাগরিককে এককালীন ৬০০ ডলার দেওয়ার প্রস্তাব করা হয়েছিল।

সোমবার রাতে বিলটি কংগ্রেসে অনুমোদিত হওয়ার পরপরই ট্রাম্প এতে স্বাক্ষর করতে যাচ্ছেন বলে ধরে নেওয়া হলেও মঙ্গলবার রাতে হোয়াইট হাউস থেকে দেওয়া বার্তায় রিপাবলিকান প্রেসিডেন্ট বিলে অন্য দেশের জন্য বরাদ্দ রাখায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন। 

তিনি বলেন, প্রণোদনা বিলের অর্থ কেবল মার্কিনিদেরই পাওয়া উচিত।

“বিলে ৮ কোটি ৫৫ লাখ ডলার আছে কম্বোডিয়াকে সহায়তায়, ১৩ কোটি ৪০ লাখ ডলার আছে মিয়ানমারের জন্য, ১৩০ কোটি ডলার মিশর ও তাদের সেনাবাহিনীর জন্য, যারা কিনা ওই অর্থ দিয়ে বিশেষ করে রাশিয়ার সামরিক সরঞ্জাম কিনবে, আড়াই কোটি ডলার রাখা পাকিস্তানে গণতন্ত্র ও জেন্ডার বিষয়ক কর্মসূচিতে, ৫০ কোটি ৫০ লাখ ডলার দেওয়া হচ্ছে বেলিজ, কোস্টারিকা, এল সালভাদর, গুয়াতেমালা, হন্ডুরাস, নিকারাগুয়া ও পানামাকে,” বলেছেন তিনি।

বন্ধ থাকা সত্ত্বেও কেন ওয়াশিংটন ডিসিতে অবস্থিত পারফর্মিং আর্টস কমপ্লেক্স কেনেডি সেন্টারকে ৪ কোটি ডলার এবং রাজধানীর বিভিন্ন জাদুঘর ও গ্যালারিকে ১০০ কোটি ডলারের বেশি দিতে হবে তা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন ট্রাম্প।

“বিদেশি রাষ্ট্র, লবিস্ট ও বিশেষ স্বার্থ রক্ষায় কংগ্রেস ব্যাপক অর্থ পেয়েছে, আর যাদের অর্থ দরকার সেই মার্কিন নাগরিকদের সর্বনিম্ন কিছু একটা দেওয়া হচ্ছে। এটা (করোনাভাইরাস) তো তাদের দোষ না, এটা চীনের দোষ। 

“আমি কংগ্রেসকে বলেছি বিলটি সংশোধন করে প্রণোদনার অর্থ ৬০০ ডলার থেকে বাড়িয়ে ২০০০ ডলার করতে; কিংবা যুগলদের জন্য যেন এটা ৪ হাজার ডলার হয়।

“একইসঙ্গে আমি কংগ্রেসকে এ বিল থেকে অযথা ও অপ্রয়োজনীয় অনুচ্ছেদ ফেলে দিয়ে আমাকে একটা ভালো বিল পাঠাতে বলেছি, নাহলে পরবর্তী প্রশাসনই কোভিড সহায়তা প্যাকেজ দেবে,” বলেছেন রিপাবলিকান প্রেসিডেন্ট।

তার এ অবস্থান ক্যাপিটল হিলকে স্তম্ভিত করে দিয়েছে বলে জানিয়েছে বিবিসি।

সোমবার পাস হওয়া এ করোনাভাইরাস প্রণোদনা বিলের সঙ্গে সংযুক্ত আছে পরের ৯ মাসে বিভিন্ন কেন্দ্রীয় সংস্থা ও দপ্তরে সরকারের ব্যয় বাবদ ১ দশমিক ৪ ট্রিলিয়ন ডলারও।

এখন ট্রাম্প যদি এ বিলে স্বাক্ষর না করেন, কিংবা ভিটো ক্ষমতা প্রয়োগ করেন তাহলে ২৯ ডিসেম্বর থেকে যুক্তরাষ্ট্রে সরকার অচল হয়ে পড়তে পারে।