বুধবার ভোররাতে হাসপাতালে
চিকিৎসাধীন অবস্থায় এ দুই নবজাতক মারা যায়।
এরা হল, সদর উপজেলার বোয়ালমারি
গ্রামের দিবাকর কুমারের চার দিন বয়সী ছেলে জয় এবং সদর উপজেলার গাড়াবাড়িয়া গ্রামের জাহিদুল
ইসলামের দুই দিন বয়সী ছেলে সোয়াইদ।
চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের
ভারপ্রাপ্ত আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. সোহরাব হোসেন জানান, মারা যাওয়া এ দুই নবজাতকের
ওজন তুলনামূলকভাবে কম ছিল এবং শীতজনিত কারণেও তারা অসুস্থ ছিল।
শীতজনিত রোগবালাই বাড়ছে জানিয়ে
তিনি বলেন, ডায়রিয়া ও শিশু ওয়ার্ডে গত দু-তিন দিন ধরে রোগী বেশি আসছে।
বুধবার সকাল ৮টা পর্যন্ত
সদর হাসপাতারের ডায়রিয়া ওয়ার্ডে ২৩ জন ডায়রিয়া রোগি ভর্তি ছিল। এর মধ্যে ১৭ জনই শিশু।
শিশু ওয়ার্ডে ভতি ছিল ২৭ জন। এদের বেশিরভাগই শীতজনিত রোগে আক্রান্ত জানান তিনি।
তীব্র শীতে ডায়রিয়া ও নিউমোনিয়া
রোগের প্রকোপ বাড়ে। এ সময় শিশু ও বয়স্কদের সবধানে রাখতে হয়। অতিরিক্ত শীতে প্রয়োজন
ছাড়া ঘরের বাইরে না যাওয়া এবং ঠাণ্ডা ও বাসি খাবার না খেতে পরামর্শ দিয়েছেন তিনি।
চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া অফিসের
ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সামাদুল হক জানান, বুধবার চুয়াডাঙ্গা জেলায় সর্বন্ম্নি তাপমাত্রা
ছিল ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এর আগের দুই দিন ছিল ৯ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
এ মৌসুমে কয়েকদিন আগে তাপমাত্রা
ছিল ৭ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। কয়েকদিন ধরেই তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রি কিংবা তার নিচে অবস্থান
করছে বলেন তিনি।