বুধবার দুপুরে জেলা প্রশাসকের
সম্মেলন কক্ষে ওই সম্মাননা অনুষ্ঠান হয়।
আন্তর্জাতিক নারী নির্যাতন
প্রতিরোধ পক্ষ এবং বেগম রোকেয়া দিবস ২০২০ উপলক্ষে ‘জয়িতা অন্বেষণে বাংলাদেশ’ শীর্ষক
কার্যক্রমের আওতায় জেলা প্রশাসন এবং মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তর ওই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
সমাজ উন্নয়নে অবদানের জন্য
জেলা পরিষদ সদস্য, জেলা যুব মহিলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক এবং বৈশাখী টেলিভিশনের জেলা
প্রতিনিধি ইসরাত জাহান পল্লবী, নির্যাতনের বিভীষিকা মুছে ফেলে নতুন উদ্যমে জীবন শুরুর
জন্য কিশোরগঞ্জ উপজেলার পানিলপুকুর মৌলভীর হাট গ্রামের মোছা. লিপি বেগম, শিক্ষা ও চাকরিতে
অবদান রাখার জন্য সৈয়দপুরের রেলওয়ে অফিসার্স কলোনির হাফিজা খাতুন, অর্থনৈতিকভাবে সাফল্য
অর্জনে সদর উপজেলার সংগলশী ইউনিয়নের মাঝাপাড়া গ্রামের মোছা. রুনা আক্তার এবং সফল জননী
হিসেবে জলঢাকার মাথাভাঙ্গা গ্রামের আলেয়া বেগম সম্মাননা পেয়েছেন।
অনুষ্ঠানে নির্বাচিত জয়িতাদের
ক্রেস্ট, সনদ ও উত্তরীয় প্রদান করা হয় বলে জেলা মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক
নুরন্নাহার শাহাজাদী জানান।
অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি
ছিলেন সংরক্ষিত আসনের সংসদ সদস্য রাবেয়া আলীম।
জেলা প্রশাসক মো. হাফিজুর
রহমান চৌধুরীর সভাপতিত্বে স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-পরিচালক আব্দুল মোতালেব সরকার,
সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এলিনা আকতার, জেলা মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক
নুরন্নাহার শাহাজাদী উপস্থিত ছিলেন।
‘জয়িতা অন্বেষণে বাংলাদেশ’
মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের একটি কার্যক্রম। জয়িতা হচ্ছে সমাজের সকল বাধা বিপত্তি অতিক্রম
করে বিভিন্ন ক্ষেত্রে সফল নারীর একটি প্রতিকী নাম। মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের
দিক নির্দেশনায় ও মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের উদ্যোগে প্রতিবছর ২৫ নভেম্বর থেকে ১০
ডিসেম্বর পর্যন্ত আন্তর্জাতিক নারী নির্যাতন প্রতিরোধ পক্ষ এবং ৯ ডিসেম্বর বেগম রোকেয়া
দিবস উৎযাপনে এই প্রচার কর্মসূচি পালিত হচ্ছে।
এই কার্যক্রমের মাধ্যমে
বিভিন্ন ক্ষেত্রে তৃণমূলের সফল নারী তথা জয়িতাদের অনুপ্রাণিত করবে বলে কর্মসূচি সংশ্লিষ্টদের
প্রত্যাশা।