বুধবার আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দলের কেন্দ্রীয় নেতাদের
সঙ্গে সাক্ষাত করতে গিয়ে এ কথা বলেন। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের
দলীয় কার্যালয়ে তাকে
স্বাগত জানান।
দোরাইস্বামী বলেন, “বাংলাদেশ ও ভারতের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক
রক্তের বন্ধনে আবদ্ধ। আজকের এই সুসম্পর্কের সূচনা করেন
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। এরই ধারাবাহিকতায় দুদেশের সম্পর্ক আরও দৃঢ়
হয়েছে যা ভবিষ্যতে আরো জোরদার হবে। আমার বাবা মুক্তিযুদ্ধে অংশ নিয়েছেন পাইলট
হিসেবে। তাই আমি খুব গর্বিত।”
ভারতীয় হাই কমিশনার বলেন, “জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলেন বাংলাদেশের স্পিরিট। বাংলাদেশের
জন্য তার আত্মত্যাগ এদেশের জনগণ ভুলতে পারবে না। এ দেশ স্বাধীন হয়েছে ত্রিশ লাখ
শহীদ এবং বহু নারীর
সম্ভম ও ত্যাগের বিনিময়ে।”
করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিন পেতে ভারত সরকার বাংলাদেশকে ‘সর্বাত্মক
সহযোগিতা’ করবে বলে প্রতিশ্রুতি দেন দেশটির হাই কমিশনার।
তিনি বলেন, “করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিন
ভারত সরকার যখন পাবে, তখন বাংলাদেশকেও পেতে সহযোগিতা করবে।”
দোরাইস্বামীর সঙ্গে এই
বৈঠকে দ্বিপক্ষীয় বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে বলে জানান আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
তিনি বলেন, “তিস্তার
পানি বণ্টন অচিরেই হতে পারে, এ নিয়ে সবুজ সংকেত পাওয়া গেছে। ভারত-বাংলাদেশের
রাজনৈতিক দল হিসেবে শীর্ষ পর্যায়ে পিপল টু পিপল আলোচনা হবে অচিরেই।”
বাংলাদেশ-ভারত
‘রক্তের রাখি বন্ধনে’ আবদ্ধ মন্তব্য করে কাদের বলেন, “সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে
দুই দেশের অভিন্ন দৃষ্টি ভঙ্গি রয়েছে। সীমান্তে কাউকে বাংলার
মাটি (সন্ত্রাসী কাজে) ব্যবহার করতে দেওয়া হবে না। সীমান্ত হত্যার বিষয়ে দুই দেশের মধ্যে
বৈঠক চলছে। সীমান্তে হত্যাকাণ্ড জিরোতে আনার বিষয়ে সফল হব বলে আশা করছি “
দুই
দেশের সম্পর্কের সেতুবন্ধন সময়ের পরিক্রমায় ‘নবতর মাত্রায়’ উন্নীত হচ্ছে বলেও
মন্তব্য করেন সরকারের সেতুমন্ত্রী কাদের।
অন্যদের মধ্যে আওয়ামী
লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য বেগম মতিয়া চৌধুরী, ফারুক খান, জাহাঙ্গীর কবির নানক, যুগ্ম-সাধারণ
সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ, হাছান মাহমুদ, আ
ফ ম বাহাউদ্দীন নাসিম, সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, বিএম
মোজাম্মেল হক, এসএম কামাল হোসেন, মির্জা
আজম, আফজাল
হোসেন, দপ্তর
সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া ও উপ-দপ্তর সম্পাদক সায়েম খান বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।