বুধবার বেলা আড়াইটা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত ঢাকার সেগুনবাগিচায় কমিশনের
প্রধান কার্যালয়ে দুদকের উপ-পরিচালক সামছুল আলম নেতৃত্বে অনুসন্ধান কর্কমর্তারা তাকে
জিজ্ঞাসাবাদ করেন।
জিজ্ঞাসাবাদ শেষে রাজউকের পরিচালক শাহিনুল ইসলাম দুদকের সামনে উপস্থিত
সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা না বলে চলে যান।
পরে তার বক্তব্য জানতে একাধিকবার ফোন করলে তিনি ধরেননি। এসএমএস পাঠালেও
সাড়া পাওয়া যায়নি।
দুদক কর্মকর্তারা বলছেন, মনির হোসেনের অবৈধ সম্পদ অর্জনের ক্ষেত্রে যারা
বিভিন্ন সময় সহযোগিতা করেছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে, তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। এর
অংশ হিসেবেই শেখ শাহিনুল ইসলামের বক্তব্য শোনা হয়েছে।
এর আগে গত ৯ ডিসেম্বর গণপূর্ত অধিদপ্তরের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী প্রদীপ
কুমার বসুকে জিজ্ঞাসাবাদ করে দুদক।
ওই দিনই শাহিনুল ইসলামকে জিজ্ঞাসাবাদের কথা ছিল, তবে তিনি আবেদন করে সময়
পিছিয়ে নেন।
গোল্ডেন মনির: রাজউক-গণপূর্ত ও ডিএনসিসির ৭ জনকে দুদকে তলব
গত ১ ডিসেম্বর দুদকের উপ-পরিচালক ও অনুসন্ধান কর্মকর্তা মো. সামছুল আলম
স্বাক্ষরিত নোটিসে সাতজনকে দুদক কার্যালয়ে হাজির হতে বলা হয়। তাদের মধ্যে কয়েকজনকে
ইতোমধ্যে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে।
এর আগে গত ২৬ নভেম্বর গোল্ডেন মনির ও তার স্ত্রী রওশন আক্তারের সম্পদের
হিসাব চেয়ে নোটিস পাঠায় দুদক।
এই অনুসন্ধান ছাড়াও আট বছর আগের এক মামলায় গোল্ডেন মনিরের বিরুদ্ধে গত
৩ ডিসেম্বর তিন কোটি ১০ লাখ ৮৫ হাজার ৩৩৫ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের মামলায় অভিযোগপত্র
অনুমোদন দিয়েছে কমিশন।
গত ২০ নভেম্বর রাতে মেরুল বাড্ডায় মনিরের ছয়তলা বাড়িতে অভিযান চালিয়ে তাকে
গ্রেপ্তার করে র্যাব। সেখান থেকে এক কোটি নয় লাখ টাকা, চার লিটার মদ, আট কেজি সোনা,
একটি বিদেশি পিস্তল ও গুলি উদ্ধার করা হয়।
গ্রেপ্তারের পর মনিরের বিরুদ্ধে অস্ত্র, মাদক ও বিশেষ ক্ষমতা আইনে তিনটি
মামলা হয়েছে। মামলাগুলো তদন্ত করছে গোয়েন্দা পুলিশ।