খাদ্য অধিদপ্তর থেকে মঙ্গলবার এ বিষয়ে একটি অফিস আদেশ জারি করা হয়েছে।
অধিদপ্তরের মহাপরিচালক সারোয়ার মাহমুদ স্বাক্ষরিত ওই আদেশে বলা হয়েছে, `সাংবাদিকদের সঙ্গে আচরণ সংক্রান্ত’ সাতটি নির্দেশনা মেনে চলতে হবে খাদ্য বিভাগের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের।
“সরকারি কর্মচারী (আচরণ) বিধি, ১৯৭৯ অনুযায়ী বিভাগীয় প্রধানের, ক্ষেত্রবিশেষে মহাপরিচালকের পূর্বানুমোদন ছাড়া বেতার কিংবা টেলিভিশন সম্প্রচারে সাক্ষাৎকার দেওয়া যাবে না। নিজ নিজ অধিক্ষেত্রে প্রকৃত দায়িত্ব পালনের ক্ষেত্র ছাড়া নীতি-নির্ধারণী পর্যায়ের কোনো বিষয়ে মন্তব্য করা যাবে না।”
আদেশে
বলা হয়েছে, “স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিতকরণের লক্ষ্যে তথ্য প্রদান সমীচীন; তবে রাষ্ট্রের কোনো জনগুরুত্বপূর্ণ গোপনীয় বিষয়ে তথ্য প্রদান করা যাবে না।”
তথ্য অধিকার আইন মেনে যতটুকু তথ্য দিলে রাষ্ট্রীয় গোপনীয়তা ক্ষুণ্ন হয় না, ততটুকু তথ্য দেওয়া যাবে উল্লেখ করে আদেশে বলা হয়েছে, প্রকাশিত হলে ‘রাষ্ট্রের নিরাপত্তা, অখণ্ডতা ও সার্বভৌমত্বের প্রতি হুমকি’ হতে পারে- এমন তথ্য দেওয়া যাবে না।
তদন্তাধীন
যেসব বিষয়ে তথ্য প্রকাশ হলে তদন্ত কাজে ‘বিঘ্ন ঘটতে পারে’ তেমন তথ্যও না দিতে বলা হয়েছে
নির্দেশনায়।
অবশ্য সাংবাদিকদের সঙ্গে ‘সহযোগিতাপূর্ণ আচরণ’ করার পরামর্শ রয়েছে মহাপরিচালকের ওই অফিস আদেশে।