গ্রেপ্তার মেহাম্মদ
মোজাম্মেল হক ইয়াছিন (৩৩) ছাত্রলীগের সোহাগ-নাজমুল নেতৃত্বাধীন কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য
ছিলেন।
বুধবার বিকালে ঢাকার
কামরাঙ্গীরচর এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয় বলে গোয়েন্দা পুলিশের লালবাগ বিভাগের
অতিরিক্ত উপ-কমিশনার মো. সাইফুর রহমান আজাদ জানান।
তিনি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর
ডটকমকে বলেন, “ইয়াছিন গত ২১ ডিসেম্বর এলজিইডির প্রধান প্রকৌশলীর কাছে এসে অস্থায়ী কার্য
সহকারী পদে মাঈন উদ্দিন নামে একজনের চাকুরির দরখাস্ত জমা দেন। দরখাস্তে সেতুমন্ত্রী
ওবায়দুল কাদেরের সুপারিশ রয়েছে। দরখাস্ত জমা দেওয়ার সময় ইয়াছিন নিজেকে মন্ত্রীর এপিএস
পরিচয় দেন।”
এলজিইডির সহকারী প্রধান
প্রকৌশলী মাহমুদ ইমাম মোরশেদ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, দরখাস্ত পাওয়ার পর
মন্ত্রীর সুপারিশ দেখে তাদের সন্দেহ হয়। তাছাড়া দরখাস্ত জমা দেওয়ার পর ইয়াছিন নিয়োগপত্র
দেওয়ার জন্য এপিএস পরিচয় দিয়ে বার বার ফোন করছিলেন।
এরপর বিষয়টি গোয়েন্দা
পুলিশকে জানানো হয় জানিয়ে তিনি বলেন, গোয়েন্দা পুলিশ দুই দিন তদন্ত করে বুধবার তাকে
গ্রেপ্তার করে। এই ব্যক্তিই সেই ইয়াছিন কি না তা নিশ্চিত হওয়ার জন্য তাকে তাদের অফিসে
আনা হয়।
গোয়েন্দা কর্মকর্তা
সাইফুর বলেন, “ইয়াছিন সেতুমন্ত্রীর স্বাক্ষর জাল করে এলজিইডিতে একজনের চাকুরির তদ্বির
করা ছাড়াও নিজেকে এই মন্ত্রীর এপিএস পরিচয় দিয়ে ফায়ার সার্ভিসে একটি বড় অংকের ঠিকাদারি
কাজ বাগিয়ে নিয়েছেন। এপিএস পরিচয়ের পাশপাশি ঢাকা কলেজ ছাত্রলীগের ভাইস প্রেসিডেন্ট
পরিচয় দিতেন, যা ঠিক নয়।
“তবে সে ছাত্রলীগের
সোহাগ-নাজমুল কমিটির কার্যনির্বাহী কমিটির একজন সদস্য ছিলেন।”
ইয়াছিন ‘নানা ধরনের
প্রতারণার’ মাধ্যমে অর্থ-সম্পদের মালিক হয়েছেন জানিয়ে এই গোয়েন্দা কর্মকর্তা বলেন,
তার বাড়ি নেত্রকোণায় হলেও কামরাঙ্গীরচরের জাউলহাটি চৌরাস্তায় একটি বাড়ি নির্মাণ করছেন।
প্রযুক্তি ব্যবহার করে সেখান থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
তার বিরুদ্ধে প্রতারণার
অভিযোগ এনে শেরে বাংলানগর থানায় একটি মামলা হয়েছে। বৃহস্পতিবার তাকে আদালতে পাঠিয়ে
রিমান্ড চাওয়া হবে।