পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়
বুধবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, ওই ৩৭ জনের মধ্যে ২৯ জন বুধবার রাতে এবং ৮ জন
বৃহস্পতিবার ফিরবেন।
বিভিন্ন সময়ে আটক
হয়ে পাকিস্তানের সিন্ধ প্রদেশের মালির এবং করাচি কারাগারে ছিলেন এই বাংলাদেশিরা।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়
জানিয়েছে, মালির কারাগার থেকে মুক্ত আটজন বৈধভাবে ওমানের একটি ফিশিং বোটে কর্মরত ছিলেন।
”২০১৯ সালের মে
মাসে ওমান সংলগ্ন আরব সাগরে মাছ ধরার সময় তাদের ফিশিং বোট স্রোতের টানে পাকিস্তানের
জলসীমায় ঢুকে পড়লে সে দেশের কোস্ট গার্ড তাদের আটক করে।”
ওই আটজন বৃহস্পতিবার
সরকারের ব্যবস্থাপনায় দেশে ফিরবেন এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন তাদের দেশে
ফিরিয়ে আনার প্রক্রিয়া ’সরাসরি তত্ত্বাবধান’ করেছেন বলে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।
সেখানে বলা হয়,
করাচিতে বাংলাদেশের ডেপুটি হাইকমিশন, সিন্ধ প্রদেশের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, পাকিস্তানের
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং মালির কারা কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগের মাধ্যমে এই বাংলাদেশিদের
প্রত্যাবাসন নিশ্চিত করা হয়েছে।
ইন্টারন্যাশনাল
অর্গানাইজেশন ফর মাইগ্রেশন (আইওএম) এবং বাংলাদেশ রেডক্রিসেন্ট সোসাইটিও এ প্রক্রিয়ায়
সহযোগিতা করেছে।
দীর্ঘ প্রায় ৮ বছর
পর গত ২৫ নভেম্বর পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে পাকিস্তানে আটক বাংলাদেশি নাগরিকদের
ফিরিয়ে আনার প্রক্রিয়া শুরু হয়। ইতোমধ্যে আরও পাঁচ বাংলাদেশিকে সেদেশ থেকে ফেরানো হয়েছে।