নগরীর বাকলিয়া এলাকা থেকে বুধবার রাতে মো. ফাহিম (২৩) নামের ওই যুবককে
গ্রেপ্তার করা হয়। তার বাড়ি চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলার বিলপুর সৈয়দ কুচিয়ায়।
বুধবার চট্টগ্রাম মহানগর হাকিম সফিউদ্দিনের আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি
দিয়েছেন ফাহিম।
কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার আসিফ মহিউদ্দিন বিডিনিউজ
টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, ওই কিশোরীর বোনের বাড়ি আর ফাহিমের বাড়ি কাছাকাছি এলাকায়।
২০১৫ সালে ১২ বছর বয়েসী কিশোরীর সঙ্গে পরিচয় এবং পরে প্রেম হয় ফাহিমের।
“বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ফাহিম ওই কিশোরীকে কর্ণফুলী উপজেলার পারকী সমুদ্র
সৈকতে নিয়ে যায় এবং শারীরিক সম্পর্ক গড়ে তুলে।”
শারীরিক সম্পর্কের বিষয়টি ফাহিম ভিডিও করে রেখেছিল জানিয়ে এডিসি আসিফ বলেন,
“কিশোরীর সঙ্গে সম্পর্কের অবনতি হওয়ায় ফাহিম ভিডিওগুলো তার আত্মীয় ও নিজের বন্ধুদের
মধ্যে ছড়িয়ে দেয়। পাশাপাশি কয়েকটি পর্ন সাইটেও ফাহিম ভিডিওগুলো আপলোড করেছিল।”
মঙ্গলবার কিশোরীর ভাই বাদি হয়ে কর্ণফুলী থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে
একটি মামলা করলে রাতেই ফাহিমকে গ্রেপ্তার করা হয় বলে জানান তিনি।
নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০ (সংশোধনী ২০০৩) এর ৯(১) ধারায় এবং পর্নগ্রাফি
নিয়ন্ত্রণ আইন-২০১২ এর ৮(১)(২)(৩) ধারায় মামলা করেছেন কিশোরীর ভাই।