ক্যাটাগরি

চ্যাপেলের ‘অদ্ভুতুড়ে’ প্রস্তাবে বিরক্ত স্মিথ

চ্যাপেলের সবশেষ আলোড়ন তোলা
অভিমত বাউন্সার নিয়ে। অস্ট্রেলিয়া-ভারতের অ্যাডিলেইড টেস্টে প্যাট কামিন্সের বাউন্সারে
হাতে চোট পেয়ে সিরিজ থেকে ছিটকে যান মোহাম্মদ শামি। এরপর চ্যাপেল সিডনি মর্নিং হেরাল্ডকে
বলেন, বাউন্সার থেকে লোয়ার অর্ডার ব্যাটসম্যানদের রক্ষা করতে আম্পায়ারদের হস্তক্ষেপ
করা উচিত।

ক্রিকেটের নিয়মে আছে, কোনো
ব্যাটসম্যানের স্কিল যদি শর্ট বোলিং সামলানোর মতো যথেষ্ট ভালো না হয় এবং বোলিং যদি
ভয়ঙ্কর হয় ও ব্যাটসম্যানের শারীরিক চোটের শঙ্কা থাকে, তাহলে বোলারকে বাউন্সার করা থেকে
বিরত থাকতে বলার অধিকার আম্পায়ারের আছে। যদিও এই আইনের প্রয়োগ খুবই বিরল, তবে আম্পায়ারদের
এখতিয়ারে এটা পড়ে। চ্যাপেলের চাওয়া, লোয়ার অর্ডারদের ক্ষেত্রে আম্পায়াররা এই অধিকার
প্রয়োগ করুক।

তবে এসইএন রেডিওকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে
স্মিথ জোরালো অবস্থান নিলেন চ্যাপেলের এই ভাবনার বিপক্ষে।

“ এখন তো মনে হচ্ছে, প্রতি
ম্যাচ শেষেই ইয়ান চ্যাপেলকে কোনো একটা অদ্ভুতুড়ে মন্তব্য করতেই হবে! আমার মতে, শর্ট
বল ক্রিকেট খেলারই অংশ। বছরের পর বছর ধরে আমরা শর্ট বলে দারুণ সব লড়াই দেখেছি এবং এটি
সরিয়ে নেওয়া কোনোভাবেই উচিত হবে না। আমি এটায় কোনো সমস্যা দেখি না।”

শর্ট বল নিয়ে মন্তব্যের আগে
অ্যাডিলেইড টেস্টেই স্মিথের আচরণ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন চ্যাপেল। টিম পেইন অধিনায়ক
হলেও একটা সময় স্মিথ মাঠ সাজাচ্ছিলেন বলে চ্যাপেল তার তীব্র সমালোচনা করেছিলেন। পরে
চ্যানেল নাইনের সঙ্গে কথোপকথনে সেটির ব্যাখ্যা দিয়েছিলেন স্মিথ।

“ আমি কেবল চেষ্টা করি টিম
পেইনকে যতটা সম্ভব সহায়তা করা যায়। সে দারুণ করেছে। আমি স্রেফ ওকে কিছু পরামর্শ দেওয়ার
চেষ্টা করি। কেবল দলের ভালোই চাই আমি, কোনোভাবেই ওকে খাটো করছি না।”

এর কিছুদিন আগে সুইচ হিটকে
‘অন্যায়’ তকমা দিয়ে এই শট নিষিদ্ধ করার দাবি জানিয়েছিলেন চ্যাপেল। তখন এটির প্রতিবাদ
করেছিলেন গ্লেন ম্যাক্সওয়েল।