ইসরায়েলের জোট সরকারে কয়েকসপ্তাহের অন্তর্কলহ এবং অচলাবস্থার পর মঙ্গলবার মধ্যরাতে পার্লামেন্ট ভেঙে দেওয়া হয়। আর এতেই নতুন নির্বাচনের পট প্রস্তুত হয়েছে।
মাত্র সাত মাস আগেই ইসরায়েলে জোট সরকার গঠন করেছিল প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর লিকুদ পার্টি এবং এর প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী বেনি গান্টজের ব্লু অ্যান্ড হোয়াইট পার্টি।
পরপর তিনটি নির্বাচনে অচলাবস্থার পর গত মে মাসে নেতানিয়াহু এবং গান্টজ জোট সরকার গঠন করেন। সে সময় দুইজন বলেছিলেন, মহামারীতে বিপর্যস্ত দেশের স্বাস্থ্য ও অর্থনীতি সামাল দিতে একটি ‘জরুরি’ সরকার গঠনের জন্য ব্যক্তিগত প্রতিদ্বন্দ্বিতা দূরে সরিয়ে রাখছেন তারা।
পালাক্রমে প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালনের চুক্তিতে তারা জোট বাঁধেন। শর্ত ছিল নেতানিয়াহু প্রথমে প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করবেন এবং এর ১৮ মাস পর গান্টজকে প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করতে দেবেন।
আর চুক্তির এই শর্ত বাস্তবায়নের জন্য দেশের জাতীয় বাজেট পাস হওয়াটা ছিল খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু এই বাজেট পাস নিয়েই পরে দুইজনের মধ্যে বিতর্কে অচলাবস্থা দেখা দেয়।
যার জেরে মঙ্গলবার মধ্যরাতের নির্ধারিত সময়সীমার মধ্যে বাজেট পাস করতে পার্লামেন্ট ব্যর্থ হওয়ায় আপনা থেকেই তা ভেঙে গিয়ে নতুন নির্বাচনের পট প্রস্তুত হয়েছে।
এই সংকটের জন্য নেতানিয়াহু এবং গান্টজ একে অপরকে দোষারোপ করছেন। পার্লামেন্ট ভেঙে যাওয়ায় গান্টজকে প্রধানমন্ত্রীত্ব দেওয়ার চুক্তি থেকে রেহাই পাওয়ার একটা সুযোগ পেয়ে গেলেন নেতানিয়াহু। তিনি চুক্তিকে সম্মান দেখাবেন এমন প্রত্যাশা জোট সরকারে খুব কম জনেরই ছিল।
গান্টজ বলেছেন, তার দল দেশের জরুরি প্রয়োজনের স্বার্থে অনেক চড়া রাজনৈতিক মূল্য দিয়ে নেতানিয়াহু সরকারে শরিক হিসাবে যোগ দিয়েছিল; “কিন্তু দুঃখজনক যে, অপরদিক থেকে আমরা কোনও অংশীদারই পাইনি” বলেন তিনি।
পার্লামেন্ট ভেঙে যাওয়ায় ইসরায়েলের নিয়মানুযায়ী, তিন মাসের মধ্যেই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে হবে। সে হিসাবে নির্বাচন হবে ২৩ মার্চ। নতুন নির্বাচন অনুষ্ঠান এবং সরকার গঠন না হওয়া পর্যন্ত বর্তমান সরকারই তত্ত্বাবধায়কের ভূমিকায় থাকবে। এ প্রক্রিয়ায় লেগে যেতে পারে কয়েকমাস।