ক্যাটাগরি

নওগাঁয় ‘আগাছানাশক দিয়ে’ বীজতলা নষ্টের অভিযোগ

মান্দা উপজেলার ভালাইন
ইউনিয়নের তানইল গ্রামের শিয়ালকুড়ি বিলে এই ঘটনা ঘটে।

এর ফলে ওই গ্রামের ছয় কৃষকের
চলতি মৌসুমে বোরো ধান রোপণ অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে।

পূর্ব বিরোধের জের ধরে
এই ঘটনা ঘটানো হয়েছে বলে ধারণা করছেন ক্ষতিগ্রস্তরা।

ভুক্তভোগীদের একজন কৃষক
জিল্লুর রহমান বলেন, চলতি মৌসুমে রোপণের জন্য তারা ৬জন কৃষক শিয়ালকুড়ি বিলে বীজতলা
তৈরি করেন। দুই সপ্তাহ আগে ওই বীজতলায় জিরাশাইল ধানের সাত মণ বীজ বপণ করা হয়। কয়েকদিন
পর ধান থেকে চারা গজানো শুরু হয়।

“এরপর থেকে গজানো চারা
শুকিয়ে মারা যেতে থাকে। একই সঙ্গে বীজতলার মাটি সবুজ বিবর্ণ হয়ে গেছে। বিষক্রিয়ায় মারা
গেছে বীজতলায় থাকা তাজা শামুক।”

জমি সংক্রান্ত বিরোধের
জের ধরে প্রতিপক্ষের লোকজন এই ক্ষতি করেছে বলে দাবি ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের।  

কৃষক শফিকুল ইসলাম ও আব্দুর
রহমান জানান, সাত মণ ধানের বীজতলা দিয়ে চলতি মৌসুমে তারা প্রায় ৫০ বিঘা জমিতে বোরো
ধান রোপণের প্রস্তুতি নিয়েছিলেন। রোপণ কাজ শেষে অবশিষ্ট চারা বিক্রি করে থাকেন।

আগাছানাশক প্রয়োগে বীজতলা
নষ্ট হওয়ায় তাদের বোরো ধান রোপণ অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে বলে জানান এই কৃষকরা।

ক্ষতিগ্রস্ত আরেক কৃষক
আজিজার রহমান বলেন, চলতি মৌসুমে দোকানগুলোতে বীজধান বেচাকেনা প্রায় শেষ। এই অবস্থায়
বাজারে ভালো মানের বীজধান পাওয়া দুস্কর।

“বাজার থেকে বীজ সংগ্রহ
করা সম্ভব হলেও তা বীজতলায় ফেলতে আরও কয়েকদিন সময় লাগবে। এছাড়া বিরুপ আবহাওয়ায় চারা
তৈরি করা অনেকটাই ঝুঁকিপূর্ণ।”

এতে করে বোরো ধান রোপণ
নিয়ে চরম বেকায়দায় পড়ার আশঙ্কা করেন তিনি।

ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকেরা বিষয়টি
স্থানীয় কৃষি অফিসে অবহিত করেছেন বলে জানান।

মান্দা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা
শায়লা শারমিন বলেন, বীজতলার গজানো চারা কী কারণে মারা গেছে ঘটনাস্থল পরিদর্শন না করে
এ মুহুর্তে বলা মুশকিল। বীজতলা পরিদর্শন করলে এই বিষয়ে সঠিক ধারণা পাওয়া যাবে এবং এরপর
প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।