বুধবার বিকালে ঢাকায় বাসায় অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে কাকরাইলের ইসলামী ব্যাংক হাসপাতালে নেওয়া হয়।
সেখানেই রাত সাড়ে ৮টার দিকে তার মৃত্যু হয় বলে বলে বাংলাদেশ গ্রুপ থিয়েটার ফেডারেশনের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ঝুনা চৌধুরী জানিয়েছেন।
৫৫ বছর বয়সী মান্নান হীরা আগে থেকে হৃদরোগে ভুগছিলেন বলে তার সহকর্মীরা জানিয়েছেন।
মান্নান হীরা বাংলাদেশ পথনাটক পরিষদের সভাপতি ছিলেন। ২০০৬ সালে তিনি নাটকের জন্য বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার লাভ করেন।
বাংলাদেশ পথনাটক পরিষদের সাধারণ সম্পাদক আহমেদ গিয়াস জানান, মান্নান হীরার প্রতি শেষ শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য মরদেহ বৃহস্পতিবার সকাল ১১টা থেকে ১২টা পর্যন্ত শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় নাট্যশালা প্রাঙ্গণে রাখা হবে।
এরপর সেগুনবাগিচা মসজিদে জানাজা শেষে মরদেহ দাফনের জন্য সিরাজগঞ্জের গ্রামের বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হবে।
মান্নান হীরা পথনাটক আন্দোলনে যুক্ত ছিলেন আজীবন। তিনি আরণ্যক নাট্যদলের অধিকর্তা ছিলেন। মঞ্চ ও টিভির জন্য অসংখ্য নাটক লিখেছেন তিনি।
তার উল্লেখযোগ্য নাটকের মধ্যে আছে ‘লাল জমিন’, ‘ভাগের মানুষ’, ‘ময়ূর সিংহাসন’, ‘সাদা-কালো’। ‘মূর্খ লোকের মূর্খ কথা’ মান্নান হীরা রচিত ও নির্দেশিত পথনাটক।
পথনাটক, মঞ্চনাটকের পাশাপাশি মান্নান হীরা চলচ্চিত্রও নির্মাণ করেন।
২০১৪ সালে সরকারি অনুদানের চলচ্চিত্র ‘একাত্তরের ক্ষুদিরাম’ নির্মাণ করেন তিনি, সেটাই তার প্রথম চলচ্চিত্র।
‘গরম ভাতের গল্প’ ও ‘৭১-এর রঙপেন্সিল’ নামে দুটি স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রও নির্মিত হয় মান্নান হীরার হাতে।
মান্নান হীরার মৃত্যুতে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ শোক প্রকাশ করেছেন।