বুধবার সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা
কমিটির সভা শেষ সিঙ্গাপুর থেকে ভার্চুয়াল বিফ্রিংয়ে অর্থমন্ত্রী অর্থমন্ত্রী আ হ ম
মুস্তফা এ তথ্য জানান।
চিকিৎসার জন্য অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা
কামাল গত ২৯ নভেম্বর সিঙ্গাপুরে যান, সেখান থেকেই তিনি বৈঠকে অংশ নেন।
অর্থমন্ত্রী বলেন, সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত
মন্ত্রিসভা কমিটির সভায় অনুমোদনের জন্য পাঁচটি প্রস্তাব উত্থাপন করা হয়েছিল। স্থানীয়
সরকার বিভাগের দুইটি, শিল্প মন্ত্রণালয়ের একটি, গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের একটি
এবং মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের একটি প্রস্তাব ছিল।
কমিটির অনুমোদিত পাঁচটি প্রস্তাবে মোট
অর্থের পরিমাণ ৪৩৮ কোটি ৯৬ লাখ ৮৬ হাজার ৬৪৯ টাকা জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, “এর মধ্যে গৃহায়ন
ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের কুমিল্লায় পুলিশের আবাসান প্রকল্প প্রস্তাবটি ফেরত দেওয়া হয়েছে।
কারণ প্রকল্পটির মেয়াদ রয়েছে মাত্র ৪-৫ মাস।”
বৈঠকের সিদ্ধান্তের বিষয়ে তিনি বলেন,
“নেপাল সরকারকে ফেরতযোগ্য ঋণ সহায়তা দেওয়ার জন্য শিল্প মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন বাংলাদেশ
কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ কর্পোরেশনকে (বিসিআইসি) কাফকো থেকে ৫০ হাজার টন গ্র্যানুলার
ইউরিয়া সার ১০৯ কোটি ৭৪ লাখ ৪৭ হাজার ৮১২ টাকায় ক্রয়ের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।”
বাংলাদেশ সার আমদানি করে চাহিদা মিটিয়ে
থাকে। সেখানে নেপালে রপ্তানি করার সিদ্ধান্তের বিষয়ে অর্থমন্ত্রী বলেন, “আমরা কাফকো
থেকে সার নিয়ে নেপালকে দিচ্ছি। এটা আমাদের প্রথম ট্রেড। আমাদের প্রতিবেশীদের সাথে নেপালের
সাথে বিশেষ করে এটা আমরা করলাম। আমার মনে হয় এতে করে আমাদের ভাবমূর্তি আন্তর্জাতিক
অঙ্গনে আরো ভাল হবে।
“আমদানি করে রপ্তানি করা যায়। সিঙ্গাপুরও
আমদানি করে রপ্তানি করে। তারা নিজেরা কিছু তৈরি করত না। আমরাও সেটা করলাম।”
সভা শেষে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত
সচিব আবু সালেহ মোস্তফা কামাল ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে বলেন, “২৫৭ দশমিক ৩৭ ডলার প্রতি
টন হিসাবে ৪০ হাজার টন বাল্ক, বাকি ১০ হাজার টন ব্যাগড সার প্রতি টন ২৬২ দশমিক ৩৭ ডলার
মূল্যে দেওয়া হচ্ছে। এটি লোন হিসেবে ধরা হচ্ছে। দ্বিপাক্ষিক চুক্তি অনুযায়ী এ দাম নির্ধারণ
করা হয়েছে।”
সভায় ২০২১ শিক্ষাবর্ষে মাধ্যমিক (বাংলা
ও ইংরেজি ভার্সন), ইবতেদায়ি, দাখিল, এসএসসি ও দাখিল ভোকেশনাল এবং কারিগরি (ট্রেড বই)
স্তরের বিনামূল্যের পাঠ্যপুস্তক মুদ্রণ, বাঁধাই ও সরবরাহের জন্য অতিরিক্ত ৩ লাখ ২৮
হাজার ৮১৭টি পাঠ্যপুস্তক ৬৬ লাখ ২৯ হাজার ১৪০ টাকায় ক্রয়ের সংশোধিত চুক্তি সম্পাদনের
অনুমোদন দেওয়া হয়।
এছাড়া ঢাকা ওয়াসার ‘সায়েদাবাদ পানি শোধনাগার
প্রকল্প (ফেজ-৩)’ প্রকল্পের কমপোনেন্ট-২ বাস্তবায়নে ডেনমার্কের র্যামবোল, ফ্রান্সের
ইজিসইউ, বাংলাদেশের বেস্ট কনসালন্টিং সার্ভিস, ইন্সটিউটিউট অফ ওয়াটার মডেলিং এবং দেভ
কনসালটেশনকে যৌথভাবে ১০২ কোটি ৬৫ লাখ ৩৭ হাজার ৪৪৫ টাকায় ডিজাইন অ্যান্ড সুপারভাইজার
অন কনসালটেন্ট হিসেবে চুক্তি স্বাক্ষরের অনুমোদন দেওয়া হয়।
এছাড়া ঢাকা ওয়াসার ‘সায়েদাবাদ পানি শোধনাগার
প্রকল্প (ফেজ-৩)’ এর কমপোনেন্ট-১ ও ২ বাস্তবায়নের জন্য পরামর্শক প্রতিষ্ঠান ডেনমার্কের
র্যামবোল, ফ্রান্সের ইজিসইউ, বাংলাদেশের বেস্ট কনসালন্টিং সার্ভিস, ইন্সটিউটিউট অফ
ওয়াটার মডেলিং এবং দেভ কনসালটেশনকে যৌথভাবে ১৫৯ কোটি ৪৫ লাখ ৩৮ হাজার ৭১০ টাকায় প্রজেক্ট
ম্যানেজমেন্ট কনসালটেন্ট হিসেবে নিয়োগের চুক্তি স্বাক্ষরে অনুমোদন দেওয়া হয়।