বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে বুধবার ‘বি’ গ্রুপের ম্যাচে উত্তর বারিধারাকে ৩-০ গোলে হারায় সাইফ স্পোর্টিং। তিনটি গোলই হয় দ্বিতীয়ার্ধে।
পাসিং ফুটবলে বলের নিয়ন্ত্রণে এগিয়ে থাকলেও প্রথমার্ধে সাইফ স্পোর্টিংয়ের আক্রমণে ছিল না চেনা ধার। ২১তম মিনিটে প্রথম বলার মতো আক্রমণে যায় উত্তর বারিধারা। জিতু মিয়ার নিচু ক্রস ধরে উজবেকিস্তানের মিডফিল্ডার ইভজেনি কোচনেভের শট ফেরান গোলরক্ষক পাপ্পু হোসেন।
প্রথমার্ধের শেষ দিকে দুই দলের সামনে এসেছিল সুযোগ। কিন্তু কাজে লাগাতে পারেনি কেউ। ৪৩তম মিনিটে বারিধারার মিশরীয় ফরোয়ার্ড মোস্তফা মাহমুদ আব্দেল খালেকের আড়াআড়ি ক্রসে সুজন বিশ্বাস পা ছোঁয়াতে পারেননি। ভারসাম্য হারিয়ে পড়ে গেলে নষ্ট হয় ভালো সুযোগটি।
৪৫তম মিনিটে রহমত মিয়ার থ্রো ইনে নাইজেরিয়ান ফরোয়ার্ড ইকেচুকু এনগোকের বাঁ পায়ের শট ক্রসবারের ওপর দিয়ে যায়।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে আত্মঘাতী গোলে পিছিয়ে পড়ে উত্তর বারিধারা। ডান দিক থেকে সিরাজউদ্দিন রাখমাতুল্লায়েভের ক্রসে তেমন কোনো বিপদ ছিল না। কিন্তু বল বিপদমুক্ত করতে যাওয়া মিশরের ডিফেন্ডার সায়েদ মাহমুদ আব্দুল রহিমের পায়ে লেগে জালে জড়ায়।
এগিয়ে যাওয়ার পর সাইফের আক্রমণের ধার বাড়ে। ৫৩তম মিনিটে ডান দিক থেকে রহিম উদ্দিনের ক্রসে গোলমুখ থেকে ফয়সাল আহমেদ ফাহিম হেড করতে পারেননি। নয় মিনিট পর এনগোকে এক ছুটে ডি-বক্সে ঢুকে বল বাড়ান জন ওকোলিকে; নাইজেরিয়ার ফরোয়ার্ডের শট বেরিয়ে যায় দূরের পোস্ট ঘেঁষে।
৬৩তম মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুণ হয়। ডান দিক দিয়ে বক্সে ঢুকে নিখুঁত শটে আগুয়ান গোলরক্ষককে পরাস্ত করেন এনগোকে। ছয় মিনিট পর বাঁ দিক দিয়ে আক্রমণে উঠে ঠাণ্ডা মাথায় গোলরক্ষকের পাশ দিয়ে কাছের পোস্ট দিয়ে ব্যবধান আরও বাড়ান ফয়সাল।
দ্বিতীয়ার্ধের যোগ করা সময়ে বদলি নামা অপূর্ব কুমার দাসের শট পাপ্পুর গ্লাভস ছুঁয়ে পোস্টে লেগে ফিরলে সান্ত্বনাসূচক গোলের দেখাও পায়নি উত্তর বারিধারা।