পুষ্টি-বিষয়ক
একটি ওয়েবসাইটে প্রকাশিত প্রতিবেদন অবলম্বনে প্রতিদিন অ্যাপল সাইডার ভিনিগার গ্রহণের
উপকারিতা সম্পর্কে জানানো হল।
অ্যান্টি-ব্যাক্টেরিয়াল উপাদান সমৃদ্ধ:
অ্যাপল সাইডার ভিনিগার ব্যাক্টেরিয়া-রোধী ও
অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট উপাদান সমৃদ্ধ। যা ব্যাক্টেরিয়াসহ অন্যান্য রোগজীবাণু ধবংস করতে
সহায়তা করে। প্রাচীনকালে এটা জীবাণুনাশক হিসেবে এবং পরিষ্কারক হিসেবে ব্যবহার করা হত।
এছাড়াও এটা খাবার দীর্ঘদিন ভালো রাখতে সহায়তা করে।
রক্তের শর্করা কমায়:
অ্যাপল সাইডার ভিনিগার টাইপ-২ ডায়াবেটিসে ভালো কাজ করে। গবেষণায় অনুযায়ী, অ্যাপল সাইডার
ভিনিগার উচ্চ কার্বোহাইড্রেট সমৃদ্ধ খাবার খাওয়ার সময় ইনসুলিনের সংবেদনশীলতা ১৯ থেকে
৩৪ শতাংশ উন্নত করতে পারে। আর রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে ভূমিকা রাখে।
ওজন কমায়:
অনেক গবেষণায় দেখা গেছে, অ্যাপল সাইডার ভিনিগার ওজন কমাতে ভূমিকা রাখে। এটা পেট ভরা
অনুভূতি দান করে ও উচ্চ ক্যালরি সমৃদ্ধ খাবার গ্রহণে বাধা দেয়, এতে ওজন কমানো সহজ হয়।
কোলেস্টেরলের মাত্রা কমায়:
অ্যাপল সাইডার ভিনিগার মানবদেহের সার্বিক কোলেস্টেরল, ট্রাইগ্লিসারাইড ও এলডিএল কোলেস্টেরলের
মাত্রা কমায় বলে জানা গেছে গবেষণা থেকে। কারণ এতে এমন কিছু উপাদান আছে যা শরীরের কোলেস্টেরলের
মাত্রা কমাতে ভূমিকা রাখে।
হৃদপিণ্ড সুস্থ রাখে:
অ্যাপল সাইডার ভিনিগার কোলেস্টেরলের মাত্রা কমানোর পাশাপাশি হৃদপিণ্ডের স্বাস্থ্য ভালো
রাখতেও সহায়তা করে। আর স্ট্রোকের ঝুঁকি কমায়। এছাড়াও এর আলফা-লিনোলেনিক অ্যাসিড নারীদের
হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়।
ত্বক সুন্দর রাখে:
শরীর সুস্থ রাখা ও হৃদরোগের ঝুঁকি কমানোর পাশাপাশি অ্যাপল সাইডার ভিনিগার ত্বক মসৃণ
ও সুন্দর রাখতে সহায়তা করে। এর ব্যাক্টেরিয়া-রোধী উপাদান ত্বকের সংক্রমণ যেমন- একজিমা
ও অন্যান্য সমস্যা দূর করতে সহায়তা করে।
আরও পড়ুন
অ্যাপল সাইডার ভিনিগার গ্রহণের সঠিক পন্থা
মুখ পরিষ্কারে অ্যাপল সাইডার ভিনিগার