বৃহস্পতিবার সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত কৃষি
মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির বৈঠকে এ সুপারিশ করা হয় বলে সংসদ সচিবালয়ের সংবাদ
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।
কমিটির এক সদস্য নাম প্রকাশ না করার
শর্তে জানান, বৈঠকে কমিটির সভাপতি মতিয়া চৌধুরী এসিআই কোম্পানির হারভেস্টার যন্ত্রের
নিম্নমান নিয়ে কথা বলেন। তাদের মেশিনগুলো ১৫ দিন থেকে এক মাসের মধ্যে যান্ত্রিক ত্রুটি
দেখা দেয়। ফলে কৃষকদের ধান কাটা ও মাড়াইয়ে ভোগান্তি পোহাতে হয়।
কমিটির অন্য সদস্যরাও একই অভিযোগ করার
পাশাপাশি এসিআই কোম্পানির স্বাস্থ্য সুরক্ষা সামগ্রীর মান নিয়েও প্রশ্ন তোলেন।
বৈঠকের পরে কমিটির সদস্য হোসনে আরা বিডিনিউজ
টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “এসিআইয়ের হারভেস্টরের মান খুবই খারাপ। কমিটির বৈঠকে প্রায়
সবাই এ নিয়ে কথা বলেছেন। ওদের নাট-বোল্ট পর্যন্ত নিম্নমানের। আমরা মন্ত্রণালয়কে ওই
কোম্পানির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশ করেছি।”
এদিকে কমিটি আলু ও পেঁয়াজের ঘাটতির কারণ
উদঘাটনের সুপারিশ করেছে।
বৈঠকে জানানো হয়, দেশে উৎপাদনের বাইরেও
প্রতি বছর প্রায় ৬/৭ লাখ টন পেঁয়াজের ঘাটতি থাকে। গতবছর পূর্ব ঘোষণা ছাড়াই ভারত পেঁয়াজ
রপ্তানি বন্ধ করে দেয়। হঠাৎ করে তৈরি হওয়া এ ধরণের পেঁয়াজ সংকট কাটাতে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের
সঙ্গে সমন্বয় করে পদক্ষেপ গ্রহণ ও ভারতের উপর শতভাগ নির্ভরতা কমানোর জন্য মন্ত্রণালয়কে
যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের সুপারিশ করা হয়।
বৈঠকে বাংলাদেশে পেঁয়াজ ও পাটের বীজ
রপ্তানির উপর ভারতের নিষেধাজ্ঞার প্রভাব হ্রাস করতে গবেষণা ও বিকল্প পরিকল্পনা গ্রহণে
মন্ত্রণালয়কে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের সুপারিশ করা হয়।
আগামী বোরো মৌসুমের সঠিক ব্যবস্থাপনা
গ্রহণ এবং আউশ মৌসুমের উৎপাদন বৃদ্ধি করতে উন্নত জাত কৃষকদের কাছে পৌঁছানো ও আবাদী
এলাকা যথাসম্ভব বাড়াতে মন্ত্রণালয়কে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলে কমিটি।
কৃষিমন্ত্রী মো. আব্দুর রাজ্জাক, মুহা.
ইমাজ উদ্দিন প্রামাণিক, মো. মোসলেম উদ্দিন, মো. মামুনুর রশীদ কিরন, আনোয়ারুল আবেদীন
খান, উম্মে কুলসুম স্মৃতি এবং হোসনে আরা বৈঠকে অংশ নেন।