ক্যাটাগরি

মোহামেডানকে উড়িয়ে শুরু আবাহনীর

বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে বৃহস্পতিবার ‘ডি’ গ্রুপের ম্যাচে ৩-০ ব্যবধানে জিতেছে প্রতিযোগিতাটির রেকর্ড ১১ বারের চ্যাম্পিয়নরা। মাসিহ সাইঘানির গোলে দলটি এগিয়ে যাওয়ার পর জোড়া গোল করেন জুয়েল রানা।

মোহামেডানের বিপক্ষে এ নিয়ে টানা দ্বিতীয় জয় পেল লেমোসের দল। বাতিল হয়ে যাওয়া গত লিগে একই ব্যবধানে জিতেছিল আবাহনী।

আক্রমণ-পাল্টা আক্রমণে জমে ওঠা ম্যাচের শুরুর দিকে গোলরক্ষককে পরীক্ষা নিতে পারছিল না কেউই। ২৬তম মিনিটে আবাহনীর রায়হান হাসানের ‘ট্রেডমার্ক’ লম্বা থ্রোয়ে হাইতির ফরোয়ার্ড কেরভেন্স ফিলস বেলফোর্টের হেড ক্রসবারের ওপর দিয়ে যায় বাইরে।

২৯তম মিনিটে সুলেমান দিয়াবাতের পাসে শাহেদ মিয়া শট নিতে ব্যর্থ হলে সুযোগ নষ্ট হয় মোহামেডানের। দুই মিনিট পর জুয়েলের নিচু ক্রসে বেলফোর্টের শট জমে যায় গোলরক্ষক সুজন হোসেনের গ্লাভসে।

প্রথমার্ধের শেষ দিকের দুই গোলে মোহামেডানকে কোণঠাসা করে ফেলে আবাহনী। ৪১তম মিনিটে রায়হানের থ্রোয়ে আফগানিস্তানের ডিফেন্ডার সাইঘানির হেড জালে জড়ায়। চার মিনিট পর নাবীব নেওয়াজ জীবনের চিপে সাইঘানি বাইসাইকেল কিক নেওয়ার পর হেডে জাল খুঁজে নেন জুয়েল।

৫৩তম মিনিটের গোলে মোহামেডানের ঘুরে দাঁড়ানোর পথটা কঠিন হয়ে যায় আরও। বাঁ দিক থেকে রায়হানের থ্রোয়ে বেলফোর্ট মাথা ছোঁয়ানোর পর দূরের পোস্টে থাকা জুয়েল নিখুঁত টোকায় লক্ষ্যভেদ করেন।

সময় গড়ানোর সঙ্গে বাড়তে থাকে মোহামেডান সমর্থকদের হতাশা। ৬২তম মিনিটে সোহানুর রহমানের শট পোস্টের বাইরে যায়। বাকিটা সময়ে মোহামেডান পারেনি ঘুরে দাঁড়াতে; বড় হার দিয়ে গ্রুপ পর্ব শুরু করল প্রতিযোগিতার ১০বারের চ্যাম্পিয়নরা।

দিনের অন্য ম্যাচে ‘এ’ গ্রুপে পুলিশ এফসির বিপক্ষে ১-০ গোলে জিতে শুভসূচনা করেছে প্রতিযোগিতার ২০১২ সালের চ্যাম্পিয়ন শেখ রাসেল ক্রীড়া চক্র।

ঘরোয়া ফুটবলের দুই পরাশক্তির ম্যাচ উপলক্ষে গ্যালারিতে কিছু দর্শক এসেছিল। করোনাভাইরাসের সংক্রমণ এড়াতে নিরাপদ দূরত্বে বসার নিয়ম তেমন একটা মানতে দেখা যায়নি তাদের মধ্যে।