আইপিও ছাড়ার চূড়ান্ত অনুমোদন
পাওয়ার পর টেলিকম খাতের এ কোম্পানির শেয়ার বৃহস্পতিবারই প্রথম ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেনে আসে।
রবি তাদের শেয়ার আইপিওতে ১০ টাকায়
বিক্রি করেছিল। লেনদেনের প্রথম ঘণ্টায় সর্বনিম্ন ও সর্বোচ্চ দাম ছিল ১৫ টাকা।
অর্থাৎ প্রথম লেনদেনে ১০ টাকার
শেয়ারটি বিনিয়োগকারীরা ৫০ শতাংশ বেশি দামে বিক্রি করতে পেরেছেন।
ওই সময়ে ৭০ বারে রবির মোট ৩৩ হাজার
৩৬১টি শেয়ার হাতবদল হয়েছে, টাকার অংকে যার দাম ৫০ লাখ ৪১৫ টাকা।
তালিকাভুক্তির পর প্রথম ও দ্বিতীয়
দিনের লেনদেনে এখন নতুন কোম্পানির শেয়ারের দাম সর্বোচ্চ ৫০ শতাংশই বাড়তে পারে।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) রবির লেনদেনের
কোড “ROBI”।
আর কোম্পানি কোড ২৭০০৩। রবি ‘এন’
ক্যাটাগরিতে লেনদেন হচ্ছে।
গত ২৩ সেপ্টেম্বর রবিকে পুঁজিবাজার
থেকে টাকা তোলার অনুমোদন দেয় বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের
(বিএসইসি)।
এরপর ১৭ নভেম্বর থেকে ২৩ নভেম্বর
বিনিয়োগকারীরা রবির শেয়ারের জন্য আবেদন করেন, গত ১০ ডিসেম্বর হয় লটারি। ২০
ডিসেম্বর বিনিয়োগকারীদের বিও অ্যাকাউন্টে শেয়ার যোগ হয়।
রবি আইপিও থেকে মোট ৫২৩ কোটি ৭৯ লাখ
৩৩ হাজার ৩৪০ টাকা তহবিল সংগ্রহ করতে চেয়েছিল। সেজন্য ১০ টাকা অভিহিত মূল্যে ৫২
কোটি ৩৭ লাখ ৯৩ হাজার ৩৩৪টি শেয়ার তারা ছেড়েছে।
এর মধ্যে রবি কর্মীদের কাছে ১৩ কোটি
৬০ লাখ ৫০ হাজার ৯৩৪টি শেয়ার বিক্রি করে ১৩৬ কোটি ৫ লাখ ৯ হাজার ৩৪০ টাকা তুলেছে।
বাকি ৩৮৭ কোটি ৭৪ লাখ ২৪ হাজার
টাকার মধ্যে ১৫৫ কোটি ৯৬ লাখ ৯ হাজার ৬০০ টাকা বরাদ্দ ছিল যোগ্য বিনিয়োগকারীদের
জন্য। বাকিটা সাধারণ বিনিয়োগকারীদের জন্য।
আইপিওর ৫১৫ কোটি ৭৭ লাখ ২৩ হাজার ৫৭৪
টাকা দিয়ে নেটওয়ার্ক পরিধির বাড়ানোর পরিকল্পনা রয়েছে রবির। আর আট কোটি দুই লাখ নয়
হাজার ৭৬৬ টাকা আইপিও বাবদ খরচ হবে।
২০১৯ অর্থবছরের নিরীক্ষিত আর্থিক
প্রতিবেদন অনুয়ায়ী এ কোম্পানির সম্পদ মূল্য ১৭ হাজার ১৯৭ কোটি টাকা। গতবছর তারা
মুনাফা করেছে ১৬ কোটি ৯০ লাখ টাকা।
রবির শেয়ার প্রতি সম্পদ মূল্য ১২
টাকা ৬৪ পয়সা আর শেয়ার প্রতি মুনাফা ৪ পয়সা।
২০১৯ সালের আর্থিক প্রতিবেদন
অনুযায়ী রবির মোট সম্পদ ১৭ হাজার ১৯৭ কোটি টাকা। রিটার্ন অন অ্যাসেট দশমিক ১০
শতাংশ। এর অর্থ, ১০০ টাকার সম্পদ ব্যবহার করে ১০ পয়সা মুনাফা হয়েছে।
রবির নেট প্রফিট মার্জিন দশমিক ২৩
শতাংশ। অর্থাৎ ১০০ টাকার বিক্রিতে ২৩ পয়সা মুনাফা হয়েছে।