তিনি বিলটির কিছু অংশকে ‘অসাংবিধানিক’ অ্যাখ্যা দিয়েছেন বলেও জানিয়েছে বিবিসি।
রিপাবলিকান এ প্রেসিডেন্ট আফগানিস্তান ও ইউরোপ থেকে সেনা প্রত্যাহার সীমিত এবং বিভিন্ন সামরিক ঘাঁটি থেকে কনফেডারেট নেতাদের নাম মুছে ফেলার ধারাগুলো নিয়ে আপত্তি জানিয়েছেন।
যুক্তরাষ্ট্রে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম কোম্পানিগুলোর জন্য রাখা আইনি সুরক্ষাকবচ বাতিলের বিধানও তিনি এই প্রতিরক্ষা বিলে রাখতে চেয়েছিলেন।
প্রেসিডেন্টের কাছে পাঠানোর আগে কংগ্রেসের দুই কক্ষেই বিলটি ব্যাপক ব্যবধানে পাস হয়েছিল।
ট্রাম্প ভিটো ক্ষমতা প্রয়োগ করায় এখন আইনপ্রণেতারা চাইলে বিলে সংশোধনী আনতে পারেন কিংবা প্রেসিডেন্টের ভিটো অগ্রাহ্যে নতুন ভোট ডাকতে পারেন।
ভিটো অকার্যকর করতে হলে প্রতিনিধি পরিষদ ও সেনেট উভয় কক্ষেই দুই-তৃতীয়াংশ সদস্যের সমর্থন লাগবে।
কংগ্রেস যদি শেষ পর্যন্ত প্রেসিডেন্টের ভিটো অগ্রাহ্য করতে না পারে, তাহলে গত ৬০ বছরের মধ্যে এবারই প্রথম ন্যাশনাল ডিফেন্স অথরাইজেশন অ্যাক্ট (এনডিএএ) বিল আইনে পরিণত হবে না।
বিলটি তৈরিতে প্রায় এক বছর সময় লেগেছে বলে জানিয়েছে বিবিসি।
সাড়ে ৪ হাজার পৃষ্ঠার এ বিল আদতে ‘চীন ও রাশিয়ার জন্য উপহার’ ছিল বলেও ট্রাম্প মন্তব্য করেছেন।
“দুর্ভাগ্যবশত এই আইনটি গুরুত্বপূর্ণ জাতীয় নিরাপত্তা সংক্রান্ত বিষয়গুলো অন্তর্ভুক্ত করতে ব্যর্থ হয়েছে,” বলেছেন এ রিপাবলিকান।
বিলে বিভিন্ন দেশ থেকে মার্কিন সেনা ফিরিয়ে আনা সীমিতের যে প্রস্তাব করা হয়েছে তাকে ‘বাজে নীতি’ ও ‘অসাংবিধানিক’ বলেও অ্যাখ্যা দিয়েছেন তিনি।
ট্রাম্প এর আগে কংগ্রেসে পাস হওয়া ৮টি বিলে ভিটো দিয়েছিলেন; সিনেটে তার মিত্রদের কারণে সেসব ভিটো টিকেও গিয়েছিল।