বৃহস্পতিবার এ ব্যাপারে নিশ্চিত করেছে কর্তৃপক্ষ। চীনের ক্রমবর্ধমান ইন্টারনেট স্পেসে প্রতিযোগিতা-বিরোধী মনোভাব দমাতে মাঠে নেমেছে চীন। আলিবাবার বিরুদ্ধে পদক্ষেপ তারই অংশ।
আলিবাবা সহ-প্রতিষ্ঠাতা জ্যাক মা’র সামনে সর্বশেষ প্রতিবন্ধকতা হিসেবেই দেখা হচ্ছে বিষয়টিকে। এর আগে গত মাসে অ্যান্ট গ্রুপের পরিকল্পিত তিন হাজার সাতশ’ কোটি ডলারের আইপিও আটকে দিয়েছিল চীন। যেদিন সাংহাই এবং হংকংয়ের শেয়ার বাজারে শেয়ার ছাড়ার কথা ছিল অ্যান্ট গ্রুপের তার মাত্র দু্ই দিন আগেই আটকে দেওয়া হয়েছিল আইপিও।
সে সময়ে এক দৃঢ় সম্পাদকীয়তে চীনের ক্ষমতাসীন দল কমিউনিস্ট পার্টির সংবাদমাধ্যম পিপল’স ডেইলি লিখেছিল, “যদি একচেটিয়া আচরণ সহ্য করা হয়, এবং প্রতিষ্ঠানকে অসংযত এবং বর্বর পন্থায় বেড়ে উঠার অনুমোদন দেওয়া হয়, তাহলে স্বাস্থ্যকর, এবং টেকসই হয়ে উঠবে না শিল্প।
রয়টার্স উল্লেখ করেছে, হংকংয়ে আলিবাবার শেয়ার মূল্য কমেছে নয় শতাংশ। অন্যদিকে, আলিবাবা প্রতিদ্বন্দ্বী মেইটুয়ান এবং জেডি ডটকমের শেয়ার মূল্য কমেছে দুই শতাংশেরও বেশি।
নিয়ন্ত্রকরা আলিবাবাকে “দুটি থেকে একটি বেছে নিন” আচরণ থেকে বিরত থাকার ব্যাপারে সতর্ক করেছিল। কারণ ওই কাজটি করার জন্য বিক্রেতাদের আলিবাবার সঙ্গে বিশেষ চুক্তি করতে হতো, এবং ওই চুক্তি অনুসারে তারা আলিবাবার প্রতিদ্বন্দ্বী প্ল্যাটফর্মে কোনো অফার দিতে পারতেন না।
বৃহস্পতিবার ‘দ্য স্টেট অ্যাডমিনিস্ট্রেশন ফর মার্কেট রেগুলেশন’ (এসএএমআর) জানিয়েছে, ওই আচরণের ব্যাপারে তদন্ত শুরু করেছে তারা। অন্যদিকে, পৃথক এক বিবৃতিতে পিপল’স ব্যাংক অফ চায়না জানিয়েছে, সামনে আলিবাবার অ্যান্ট গ্রুপের ফিনটেক বিভাগের সঙ্গেও দেখা করবে নিয়ন্ত্রক সংস্থার কর্তারা।
বৈঠকে “অ্যান্ট গ্রুপকে আর্থিক তত্ত্ববধান প্রয়োগ, ন্যায্য প্রতিযোগিতা, এবং বৈধ অধিকার ও ভোক্তা স্বার্থ সুরক্ষিত করার ব্যাপারে দিক নির্দেশনা দেওয়া হবে।” – বলা হয়েছে বিবৃতিটিতে।
অ্যান্ট গ্রুপ নোটিশ পাওয়ার খবর নিশ্চিত করেছে এবং জানিয়েছে, নিয়ন্ত্রক সংস্থার সব দাবি মেনে চলবে তারা। অন্যদিকে, আলিবাবা জানিয়েছে, তদন্তে সহযোগিতা করবে তারা এবং সব কার্যক্রম স্বাভাবিকভাবেই চলবে।
হংকংয়ের প্রিমাভেরা ক্যাপিটাল গ্রুপের চেয়ারম্যান এবং অ্যান্ট গ্রুপের বিনিয়োগকারী ফ্রেড হু বলেছেন, বিশ্ব বাজার দেখবে পদক্ষেপগুলো “রাজনৈতিকভাবে প্রভাবিত” কি না এবং নিয়ন্ত্রকরা শুধু বেসরকারি খাতকে লক্ষ্য করছেন, রাষ্ট্রীয় একচেটিয়া ব্যবসা এড়িয়ে যাচ্ছেন কি না।
“এটি দুঃখজনক হবে যদি অ্যান্ট্রিটাস্ট আইনকে শুধু সফল বেসরকারি প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানের উপর প্রয়োগ করতে দেখা যায়।” – বলেছেন তিনি।