স্পোর্টস্টারে লেখা কলামে গাভাস্কার অভিযোগ করেন, ভারতীয় দলে একেকজনের ক্ষেত্রে একেকরকম নীতি প্রয়োগ করা হয়। তার মতে, অশ্বিনের মতো পারফরমারও এটি থেকে রেহাই পাচ্ছেন না।
“ অশ্বিনের বোলি সামর্থ্য নিয়ে কেবল নির্বোধরাই প্রশ্ন তুলবে। তার পরও তাকে ভুগতে হচ্ছে অনেক দিন ধরে। সেটির মূল কারণ অশ্বিনের স্পষ্টবাদীতা ও টিম মিটিংয়ে মনের কথা খোলাখুলি বলে ফেলা, যেখানে অন্যরা একমত না হলেও মাথা নাড়িয়ে সম্মতি জানায়।”
“ বিশ্বের যে কোনো দল ৩৫০ উইকেট শিকারি কোনো বোলারকে সবসময়ই স্বাগত জানাবে, তার ৪টি টেস্ট সেঞ্চুরির কথা বাদই দিলাম। অথচ একটি ম্যাচে বেশি উইকেট না নিলেই পরের ম্যাচে তাকে নিশ্চিতভাবেই বাইরে রাখা হয়। প্রতিষ্ঠিত ব্যাটসম্যানদের ক্ষেত্রে এটা হয় না। ব্যর্থ হলেও তারা ম্যাচের পর ম্যাচ সুযোগ পায়। কিন্তু অশ্বিনের জন্য নিয়ম মনে হয় আলাদা।”
গাভাস্কার আরও গুরুতর অভিযোগ তুললেন নাটরাজনের সঙ্গে আচরণ নিয়ে।
“ আরেকজন ক্রিকেটারও দলের নীতি নিয়ে প্রশ্ন তুলতে পারে, কিন্তু দলে নতুন বলে সে তা করতে পারবে না। সে হলো নাটরাজন। এই বাঁহাতি ইয়র্কার স্পেশালিস্ট অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজে দারুণ বোলিং করেছে। আইপিএলের প্লে অফ চলার সময়ই সে বাবা হয়েছে (৬ নভেম্বর)। কিন্তু সংযুক্ত আরব আমিরাত থেকেই তাকে সরাসরি অস্ট্রেলিয়ায় নেওয়া হয়েছে, সেখানে সীমিত ওভারের সিরিজে দারুণ খেলেছে। তার পর টেস্ট সিরিজের জন্যও তাকে রেখে দেওয়া হয়েছে। অথচ সে মূল স্কোয়াডের অংশ নয়, স্রেফ নেট বোলার হিসেবে আছে। ভেবে দেখুন!”
এখানেই বোর্ড ও টিম ম্যানেজমেন্টের দ্বৈত নীতির ব্যাপারটি তুলে ধরেছেন গাভাস্কার।
“ একজন ম্যাচ জেতানো বোলার, অন্য সংস্করণে হলেও, তাকে রেখে দেওয়া হয়েছে স্রেফ নেট বোলার হিসেবে। সে দেশে ফিরবে সিরিজ শেষে জানুয়ারীর তৃতীয় সপ্তাহে, তখনই কেবল নিজের মেয়েকে প্রথমবার দেখতে পাবে। সেখানে কিনা অধিনায়ক প্রথম টেস্টের পর দেশে ফিরে যাচ্ছে প্রথম সন্তানের জন্মের জন্য।”
“এটাই ভারতীয় ক্রিকেট। আলাদা লোকের জন্য নিয়মও এখানে আলাদা। আমার কথা বিশ্বাস না হলে অশ্বিন ও নাটরাজনকে জিজ্ঞেস করুন।”