ক্যাসপারস্কির নতুন এক জরিপ বলছে, এ ক্ষতি অর্থমূল্যে হিসেব করলে তা দাঁড়াবে বৈশ্বিকভাবে ৩৪ হাজার ৭০০ কোটি ডলারের ঘরে। এ বছর নিনটেনডো, সনি এবং মাইক্রোসফটের মতো প্রতিষ্ঠানগুলো বিক্রিতে আগের অনেক রেকর্ড ভেঙে দিয়েছে। ঘরবন্দী লাখো মানুষ এ বছরটিতে নিজেদের সময় কাটানোর জন্য বেছে নিয়েছেন ভিডিও গেইমকে।
সাইবার-নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠান ক্যাসপারেস্কি ১৭টি দেশে পাঁচ হাজার ৩১ জন গেইমারের উপর জরিপ চালিয়ে জানিয়েছে, ৩৩ শতাংশ গেইমার ঠগবাজের খপ্পরে পড়ে ভুগেছেন। এতে করে জরিপ চালানো ৩১ শতাংশ গেইমের গেইমার চাপ এবং উদ্বেগের শিকার হয়েছেন।
জরিপের ফলাফল বলছে, “ব্যাপারটি হতাশাজনক কারণ চাপ কমানোর জন্য এদের অধিকাংশ (৬২ শতাংশ) গেইম খেলে থাকেন।” জরিপের তথ্য অনুসারে, উত্তেজনা পেতে গেইম খেলেন ৬২ শতাংশ, আর বন্ধুত্বের আশায় গেইমের শরণাপন্ন হয়েছেন জরিপে অংশগ্রহণকারীর ৪৬ শতাংশ।
গেইমারদের এ ধরনের সমস্যায় পড়ার ব্যাপারটি সবচেয়ে বেশি চোখে পড়েছে রাশিয়া (৪৪ শতাংশ), সৌদি আরব (২৭ শতাংশ), তুরস্ক (২৮ শতাংশ) এবং যুক্তরাষ্ট্রে (২৭ শতাংশ)।
জরিপ ফলাফল প্রতিবেদনে পিসি গেইম সবসময় স্টিম এবং জিওজি’র মতো পরিচিত প্ল্যাটফর্ম থেকে কেনার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে, আর না-হয় সরাসরি ডেভেলপার সাইট থেকে কিনে নিতে বলা হয়েছে।
“অফিশিয়াল স্টোর অনেক সময়ই ভালো মূল্যছাড় দেয়। কিন্তু মূল্যছাড়ের অনেক ইমেইল স্ক্যাম হতে পারে – এ জন্য ডেভেলপার বা স্টোরের ওয়েবসাইটে মূল্যছাড়ের কথা উল্লেখ রয়েছে কি না তা গিয়ে দেখে নিতে হবে – যদি না থাকে, তাহলে সেটি ভুয়া।” – বলছে জরিপের প্রতিবেদন।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ইকোনোমিক টাইমসের প্রতিবেদন বলছে, নিজের সব সঞ্চয় রয়েছে এমন কার্ড অনলাইন শপিংয়ের কাজে ব্যয় না করে ডেবিট কার্ড নিয়ে নিতে। এতে করে কার্ডের তথ্য বেহাত হলেও সব হারাবে না।