ক্যাটাগরি

নগদে দৈনিক লেনদেন ২০০ কোটি টাকা ছাড়াল

বৃহস্পতিবার হোটেল লা ভিঞ্চিতে টেলিকম খাতের প্রতিবেদকদের সংগঠন টিআরএনবি আয়োজিত ‘ডিজিটাল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসের বর্তমান পরিস্থিতি এবং প্রযুক্তিগত উদ্ভাবন’ শীর্ষক কর্মশালা উদ্বোধন করে ডাক ও টেলিযোগযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার মন্ত্রী এ তথ্য জানান।

ভার্চুয়াল মাধ্যমে অনুষ্ঠানে যুক্ত হয়ে তিনি বলেন, “গত এক বছরে নগদের দৈনিক লেনদেন দ্বিগুন হয়েছে। এ খাতে প্রতিযোগিতা তৈরি করেছে নগদ।”

দেশের প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর কাছে এ সেবা পৌঁছে দেওয়া নগদের মূল লক্ষ্য জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, “সরকারি প্রতিষ্ঠানের মূল লক্ষ্য মুনাফা নয়। অল্প সময়ে তৃণমূল পর্যন্ত নেটওয়ার্ক গড়ে তোলা বড় চ্যালেঞ্জ ছিল নগদের। নগদের সেবার আওতা বৃদ্ধি করতে পোস্ট অফিসগুলোকে কাজে লাগানোর পরিকল্পনা চলছে।”

নগদে ব্যাংকিং সুযোগ-সুবিধা নিয়ে আসার পরিকল্পনা রয়েছে কি না জানতে চাইলে মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেন, “শুরুতে শুধু লেনদেন দিয়ে শুরু হলেও আগামীতে ব্যাংকিং খাতের সুযোগ সুবিধা যেমন সঞ্চয়, ডিপিএস সেবা ইত্যাদি শুরু করার চেষ্টা করা হচ্ছে।”

এছাড়া ভবিষ্যতে বিদেশ থেকে টাকা পাঠানো, আউটসোর্সিং খাতে টাকা নিয়ে আসাসহ অন্যান্য সেবা শুরু করার পরিকল্পনার কথাও জানান তিনি।

এর আগে চলতি বছরের জানুয়ারিতে দৈনিক ১০০ কোটি টাকা লেনদেনের মাইলফলক অতিক্রম করেছিল মোবাইলে আর্থিক সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানটি।

এর আগে চলতি বছরের জানুয়ারিতে দৈনিক ১০০ কোটি টাকা লেনদেনের মাইলফলক অতিক্রম করেছিল মোবাইলে আর্থিক সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানটি।

মন্ত্রী বলেন, “নগদের কারণে বাজারে অন্যান্য অপারেটরগুলো প্রতিযোগিতায় আসতে বাধ্য হবে এবং কাউকে টিকে থাকতে হলে প্রতিযোগিতা করেই টিকে থাকতে হবে।” 

কর্মশালায় নগদের ব্যবস্থাপনা পরিচালক তানভীর এ মিশুক বলেন, “উদ্ভাবনী প্রচেষ্টার এই গতিধারায় প্রতিষ্ঠার মাত্র দেড় বছরের মধ্যে নগদ ২০০ কোটি টাকা লেনদেনের মাইলফলক ছুঁয়ে ফেলেছে। এটি আমাদের জন্য অনেক আনন্দের।”

তিনি বলেন, “প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয় বলেছিলেন, ২০২১ সালের জানুয়ারির আগে ২০০ কোটির মাইলফলক স্পর্শ করার কথা, যেটি আমরা আগেই করে ফেলেছি।”

বর্তমানে নগদে গ্রাহক সংখ্যা ৩ কোটি ছাড়িয়েছে এবং শহর ও প্রত্যন্ত অঞ্চলে গ্রাহক সংখ্যা বাড়ছে বলে জানান মিশুক।

তিনি বলেন, “এমএফএসগুলোর মধ্যে ডিজিটাল কেওয়াইসির ব্যবহার দেশে প্রথম শুরু করেছে নগদ। ডিজিটাল কেওয়াইসি দিয়ে অ্যাকাউন্ট খুলতে লাগে মাত্র ১০ সেকেন্ড। অথচ আগে অ্যাকাউন্ট খুলতে ৭২ ঘণ্টা লাগত।”

কর্মশালায় নির্বাহী পরিচালক মো. সাফায়েত আলম নগদের ভবিষ্যত পরিকল্পনা ও কার্যক্রম তুলে ধরেন।

এ সময় টিআরএনবির সভাপতি মুজিব মাসুদ ও সাধারণ সম্পাদক মাজহারুল আনোয়ার খান শিপুসহ নগদের ঊর্ধবতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

এদিকে দৈনিক ২০০ কোটি টাকা লেনদেনের মাইলফলকে পৌঁছানো উপলক্ষে এক অনুষ্ঠানে নগদের ব্যবস্থাপনা পরিচালক তানভীর এ মিশুক বলেন, নগদের দ্রুতগতির অগ্রযাত্রা অত্যাধুনিক প্রযুক্তিগত উদ্ভাবন এবং গ্রাহকবান্ধব সেবা চালু করার ফসল।

“প্রচলিত সব পরিষেবা যাতে নগদে পাওয়া যায় তার জন্য আমরা ‘সব হবে নগদ-এ’ লক্ষ্য নিয়ে কাজ করছি। আর সেজন্য প্রতিদিনিই আমরা অসাধ্য সাধনের আশায় কাজ করছি।”

মিশুক বলেন, মোবাইল ফোন থেকে *১৬৭# নম্বরে ডায়াল করে অ্যাকাউন্ট খোলা বিশ্বের আর কোথাও সম্ভব না হলেও ‘নগদ’ সেটি সম্ভব করেছে।

“উদ্ভাবনী প্রচেষ্টার এই গতিধারায় প্রতিষ্ঠার মাত্র দেড় বছরের মধ্যে নগদ ২০০ কোটির মাইলফলক ছুঁয়ে ফেলেছে। এটি আমাদের জন্য অনেক আনন্দের।”

নগদের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আনুষ্ঠানিক পথচলা শুরুর পর থেকে ‘নগদ’ দেশের ডিজিটাল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিস খাতসহ আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। যাত্রা শুরুর মাত্র দুই বছরেরও কম সময়ে ১২ হাজার মার্চেন্ট নগদ নেটওয়ার্ক যুক্ত হয়েছে, আছে প্রায় সাড়ে ৩০০ ই-কমার্স প্ল্যাটফর্মে লেনদেনের সুবিধা। ফলে কেনাকাটার ডিজিটাল লেনদেনে ‘নগদ’-ই এখন সেরা পছন্দ।