এরা হলেন- ফরিদপুরের
শিমুল মিয়া (২৯), শাহীন মাতুব্বর (২৮) ও মো. মহিদুল (২৬)।
বৃহস্পতিবার ভোর সাড়ে
৫টার দিকে মোহাম্মদপুরের ঢাকা উদ্যান এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয় বলে ঢাকা মহানগর
পুলিশের গোয়েন্দা ওয়ারি বিভাগের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়,
“প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, বিকাশ প্রতারক চক্রের সদস্যরা প্রধানত চারটি গ্রুপে
বিভক্ত হয়ে প্রতারণা কার্যক্রম সম্পন্ন করে থাকে। প্রথম গ্রুপ মাঠ পর্যায়ে অবস্থান
করে বিভিন্ন বিকাশের দোকানে টাকা বিকাশ করার কথা বলে অবস্থান নেয়। এক পর্যায়ে পূর্বে
লেনদেনকৃত বিকাশ খাতার ছবি তুলে নেয় তারা। পরবর্তী সময়ে উক্ত ছবি হোয়াটসঅ্যাপে দ্বিতীয়
গ্রুপের কাছে স্থান ঊল্লেখ করে পাঠিয়ে দেয়।
“দ্বিতীয় গ্রুপ তার
কাছে পাঠানো বিকাশ খাতা থেকে প্রাপ্ত বিভিন্ন নম্বরে বিকাশ দোকানদার সেজে কল করে এবং
জানতে চায় যে, তাদের কাছে পাঠানো টাকা তারা পেয়েছেন কি না এবং ক্যাশ আউট করেছেন কি
না। যদি বলে পেয়েছি কিন্তু টাকা তুলিনি বা ক্যাশ আউট করেনি তখন প্রতারকরা তাদের প্রতারণার
বিভিন্ন কৌশল ব্যবহার শুরু করে।
“অল্প সময়ের ব্যবধানে
তৃতীয় গ্রুপ বিকাশ কাস্টমার কেয়ার সার্ভিস অফিসার পরিচয় দিয়ে অনলাইনভিত্তিক বিভিন্ন
অ্যাপের মাধ্যমে বিকাশ অফিসের নম্বর ক্লোনিং করে ফোন দিয়ে বিভিন্ন কথার ছলে ওটিপি এবং
বিকাশ পিনকোড নিয়ে নেয়। পরবর্তী সময়ে প্রতারক চক্র গ্রাহকের বিকাশ অ্যাকাউন্ট হ্যাক
করে ও অ্যাকাউন্ট আনলক করার কথা বলে ভুক্তভোগীর বিকাশ অ্যাকাউন্ট থেকে বিভিন্ন পরিমাণ
টাকা কৌশলে হাতিয়ে নেয়। সেই টাকা সবশেষে চতুর্থ গ্রুপের কাছে পাঠানো হয়।”
গোয়েন্দা পুলিশের ওয়ারি
বিভাগের উপ-কমিশনার আ. আহাদ বলেন, “আসামিরা দীর্ঘ দিন যাবত বিকাশ কাস্টমার কেয়ারের
ম্যানেজার অথবা বিকাশ এজেন্ট সেজে নিরীহ মানুষদের কাছ থেকে তাদের বিকাশ অ্যাকাউন্ট
হ্যাকিংয়ের মাধ্যমে টাকা আত্মসাৎ করে আসছিল।”
এ বিষয়ে মোহাম্মদপুর
থানায় একটি মামলা করা হয়েছে বলে জানান তিনি।