বুধবার তিনি প্রেসিডেন্টের ক্ষমতাবলে আর যাদের ক্ষমা করেছেন তাদের মধ্যে তার বেয়াই, হোয়াইট হাউসের উপদেষ্টা জ্যারেড কুশনারের বাবা চার্লস কুশনারও আছেন বলে জানিয়েছে বিবিসি।
২০১৬ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রাশিয়ার হস্তক্ষেপের অভিযোগ নিয়ে এক তদন্তে ২০১৮ সালে ম্যানাফোর্ট দোষী সাব্যস্ত হয়েছিলেন।
আর স্টোন দণ্ড পেয়েছিলেন কংগ্রেসকে মিথ্যা বলার দায়ে। ট্রাম্প এর আগে তার সাবেক এ উপদেষ্টার সাজা কমিয়েছিলেন।
কর ফাঁকি, সাক্ষীর উপর প্রভাব বিস্তারসহ একাধিক অভিযোগে ২০০৪ সালে ২ বছরের সাজা পেয়েছিলেন ট্রাম্পকন্যা ইভাঙ্কার শ্বশুর চার্লস কুশনার।
বিবিসি জানিয়েছে, আগামী মাসে হোয়াইট হাউস ছাড়ার আগে রিপাবলিকান প্রেসিডেন্টের এ দফার অনুকম্পায় মোট ২৯ দণ্ডিত আসামী উপকৃত হলেন। এর মধ্যে ২৬ জন পেয়েছেন পূর্ণাঙ্গ ক্ষমা, ৩ জনের সাজা কমেছে।
যুক্তরাষ্ট্রে প্রেসিডেন্ট কারও সাজা কমালে তার দোষ খারিজ হয়ে যায়না বা তিনি নির্দোষ এমনটা বোঝায় না। তবে প্রেসিডেন্ট ক্ষমা করলে দোষী ব্যক্তি ভোটাধিকারসহ আরও কিছু সুযোগসুবিধা ফেরত পান।
বিদায়ী প্রেসিডেন্টরা সাধারণত তাদের মেয়াদের শেষ দিনগুলোতে দণ্ডিত অপরাধীদের ক্ষমা করেন বা সাজা কমিয়ে যান।
এর আগে মঙ্গলবার ট্রাম্প সাবেক দুই সহযোগীসহ ১৫ জনকে ক্ষমা ও ৫ জনের সাজা কমান।
নভেম্বরে তিনি তার আরেক সহযোগী, যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা মাইকেল ফ্লিনকেও ক্ষমা করে দিয়েছিলেন। ফ্লিনও স্পেশাল কাউন্সেল রবার্ট মুলারের রাশিয়া তদন্তে এফবিআইকে মিথ্যা বলার দায়ে দোষী সাব্যস্ত হয়েছিলেন।