বাবা
বাবা ছাড়া
একটা আকাশ
তারা হয়ে চোখে
জেগে আছে
জানি না কার শোকে।
তারাগুলো
গোমড়া মুখে বসে
কী সব অঙ্ক
যাচ্ছে যে আজ কষে।
বুঝি না সেই
অঙ্ক হাবিজাবি
মা বলে আয়
খোকন বাড়ি যাবি।
আমি বলি
যাব না আর বাড়ি
বাবা ছাড়া
থাকতে কি মা পারি?
বাবা আমায়
গেল একা ফেলে
ওই আকাশের
শূন্যে ডানা মেলে।
মা আর আমি
আকাশপানে চেয়ে
অশ্রু ঝরাই
দুজনার চোখ বেয়ে।
সত্যিকারের রাজা
সত্যিকারের হাতি-ঘোড়া
সত্যিকারের রাজা
সত্যিকারের বিচারে তার
সত্যিকারের সাজা।
সত্যিকারের সৈন্যবহর
যুদ্ধে লড়ার জন্য
সত্যিকারের অস্ত্রশস্ত্রে
উঠছে হয়ে বন্য।
সত্যিকারের দুষ্টু রাজার
সত্যি বিনাশ হবে
সত্যিকারের যুদ্ধে যদি
নীতির জয় হয়, তবে।
স্মৃতিমেদুর
ঝুপঝাপ ডুব
পুকুরের জল
টুপটাপ টুব
বৃষ্টির দল।
গুব গুব গুব
ডাহুকের ডাক
খুব খুব খুব
ভালোবাসা পাক।
উদ্ভট
লাল ইট দিয়ে
বোনা এক বাড়ি
তার পাশে পথ
দিয়ে যায় গাড়ি।
সেই বাড়িতেই
থাকে এক লোক
লোক যেন নয়
ভারি আচানক!
অদ্ভুত সব
কাজ করে রোজ
ভাল্লাগে না
বলে করে খোঁজ
জলপিপি, উট,
শামুকের খোল
বলে তার ঘর
নাকি ব্ল্যাকহোল!
মুরগির রোগ
কুক কুরু কু কুক কুরু কু
মন উড়ুকু মন উড়ুকু
কদিন ধরে ভাবছি কী সব
ধুত তুরু কু ধুত তুরু কু।
ভাবছি আমি, আমাদের কান
মাথা ঘোরে জোরে জোরে
তারপরে যায় মান সম্মান
হয় কেন তা জানিস ওরে!
মানুষগুলো কেমন যেন
বলে, তোর কি আছে রে ভাই
মুরগির মতো ঝিমানো রোগ?
কেমন বিচার? বুঝি না ছাই।
মুরগি বলে, ও ভাই মোরগ
তোর শরীরে নেই কোনো রোগ?
মোরগ বলে, আরে যা যা
আমি হলাম জাতির রাজা
তোর মতো নেই ঝিমানো রোগ
আমি সুস্থ সবল মোরগ।
মুরগি ভাবে, সত্যি কি তাই?
কুক কুরু কু, জানি না ভাই।
চাঁদের শ্লোক
সুপারিবাগানে একটা বাড়ি
চাঁদটা ঝুলে আছে যেন তারই
মাথার ওপরে একদম ঠিক
চাঁদ হেসে ওঠে ফিক ফিক ফিক।
তার পাশে থির কাঁঠালের বন
কাঁঠালের বনে সব আয়োজন
থেমে আছে আজ চাঁদের রূপে
লক্ষ্মীপ্যাঁচাটা তাই চুপে চুপে
তাকায় চাঁদের দিকে বারেবার
ভাবে সে, সময় হলো কি ডাকার?
বাড়ির পাশে পুকুরের জল
হয়ে গেছে তা চাঁদ টলোমল
এসব দেখে একটা লোক
লিখে ফেলল চাঁদের শোলক।
কিডস পাতায় বড়দের সঙ্গে শিশু-কিশোররাও লিখতে পারো। নিজের লেখা ছড়া-কবিতা, ছোটগল্প, ভ্রমণকাহিনী, মজার অভিজ্ঞতা, আঁকা ছবি, সম্প্রতি পড়া কোনো বই, বিজ্ঞান, চলচ্চিত্র, খেলাধুলা ও নিজ স্কুল-কলেজের সাংস্কৃতিক খবর যতো ইচ্ছে পাঠাও। ঠিকানা kidz@bdnews24.com। সঙ্গে নিজের নাম-ঠিকানা ও ছবি দিতে ভুলো না! |