বুধবার
ঢাকার ৯ নম্বর বিশেষ জজ আদালতের বিচারক শেখ হাফিজুর রহমান এ রায় দেন বলে ওই আদালতের
পেশকার ফোরকান মিয়া বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানিয়েছেন।
রায়ে
যন্ত্রপাতি সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান মালয়েশিয়ার মেসার্স নভেলকো (এম) এর কর্মকর্তা জন
নোয়েল ও যন্ত্রপাতি সরবরাহকারী স্থানীয় প্রতিনিধি খন্দকার শহীদুলকে দুই বছরের বিনাশ্রম
কারাদণ্ড, ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
আর
প্রকল্প পরিচালক শফিকুল ইসলামকে তিন বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ড ও ১০ হাজার টাকা জরিমানা
করা হয়।
এছাড়া
এ তিনজনকে আরও ৩০ লাখ ৪২ হাজার ২০ টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে। আর অসাধু উপায়ে আত্মসাৎ
করা রাষ্ট্রের ৯১ লাখ ২৬ হাজার ৬০ টাকা রাষ্ট্রের অনুকূলে বাজেয়াপ্তের নির্দেশ দেওয়া
হয়েছে।
আসামিরা
পলাতক থাকায় বিচারক তাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন।
বিএফডিসি
আধুনিকায়নে যন্ত্রপাতি কেনার নামে সরকারের ৩ কোটি ৪৬ লাখ ৫৮ হাজার ৫২০ টাকার আর্থিক
ক্ষতিসাধনের অভিযোগে ২০১৫ সালের ৭ অক্টোবর তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল থানায় মামলাটি দায়ের
করেন দুদকের উপ-পরিচালক হামিদুল হাসান।
দণ্ডিতদের
পাশাপাশি এফডিসির সে সময়কার ব্যবস্থাপনা পরিচালক পীযূষ বন্দ্যোপাধ্যায়কেও মামলায় আসামি
করা হয়েছিল।
মামলাটি
তদন্ত করে দুদক উপপরিচালক ফরিদ আহমেদ পাটোয়ারী ২০১৭ সালের ২ মার্চ পীযূষ বন্দ্যোপাধ্যায়কে
অব্যাহতি দিয়ে বাকি তিনজনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেন।
২০১৮
সালের ২২ জানুয়ারি তিন আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন হয়। ২১ জন সাক্ষীর মধ্যে ২০ জনের
সাক্ষ্য নিয়ে বুধবার রায় হল।