বৃহস্পতিবার বার কাউন্সিলের সচিব (সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ) মো. রফিকুল ইসলাম স্বাক্ষরিত ‘বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে’ একথা জানানো হয়েছে।
পরীক্ষা বাতিল হয়েছে মোহাম্মদপুর মহিলা কলেজ, মোহাম্মদপুর কেন্দ্রীয় কলেজ, বিসিএসআইআর উচ্চ বিদ্যালয়, সরকারি মোহাম্মদপুর মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজ এবং ঢাকা মহানগর মহিলা কলেজ কেন্দ্রের।
এই পাঁচটি কেন্দ্রের পরীক্ষার্থীদের লিখিত পরীক্ষা যত দ্রুত সম্ভব গ্রহণ করা হবে বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।
গত ১৯ ডিসেম্বর এই পাঁচ কেন্দ্রেসহ নয়টি কেন্দ্রে বার কাউন্সিলের এনরোলমেন্ট লিখিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রায় ১৩ হাজার পরীক্ষার্থী অংশ নেয়।
মহামারীকালে এবার লিখিত পরীক্ষা বাদ দিয়ে সরাসরি মৌখিক পরীক্ষা নিয়ে আইনজীবী অন্তর্ভুক্তির দাবিতে আন্দোলনে ছিল একদল পরীক্ষার্থী।
কিন্তু বার কাউন্সিল পরীক্ষা নিতে অনড় থাকায় হট্টগোল, ভাঙচুর ও বর্জনের মধ্য দিয়ে ওই পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছিল।
আইনজীবী অন্তর্ভুক্তির পরীক্ষায় ভাঙচুর-হট্টগোল, গ্রেপ্তার ১১
বার কাউন্সিলের এনরোলমেন্ট কমিটির বৃহস্পতিবারের সভায় এই বিষয়ে আলোচনা ওঠে।
সভায় সর্বসম্মতিক্রমে পাঁচ কেন্দ্রের পরীক্ষা বাতিলের সিদ্ধান্ত হয় বলে বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে। এছাড়া গোলযোগ ও বিশৃঙ্খলার সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার হুঁশিয়ারিও দেওয়া হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, “যে সকল উশৃঙ্খল পরীক্ষার্থী কেন্দ্রে গোলযোগ করে পরীক্ষার পরিবেশ বিনষ্ট করাসহ বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে পরীক্ষা গ্রহণে বাধা প্রদান, সাধারণ পরীক্ষার্থীদের শারিরিকভাবে নিগৃহীত করে জোরপূর্বক তাদের উত্তরপত্র বিনষ্ট এবং পরীক্ষা কেন্দ্রে দায়িত্বরত ম্যাজিস্ট্রেট ও শিক্ষকদের সাথে অশোভন আচরণ করে পরীক্ষা কেন্দ্র ভাংচুর ও ক্ষতিসাধন করেছে, সর্বোপরি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম (ফেইসবুক, ইউটিউব) ব্যবহার করে পরীক্ষা বানচালে উস্কানিমূলক বক্তব্য প্রদান করেছে, তাদেরকে চিহ্নিত করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণসহ বার কাউন্সিলের পরবর্তী পরীক্ষাসমূহে অংশগ্রহণ নিষিদ্ধ করা হবে।”
নয়টি কেন্দ্রে বাকি চারটি কেন্দ্রের পরীক্ষার কার্যক্রম বহাল থাকবে বলে জানানো হয় বার কাউন্সিলের বিজ্ঞপ্তিতে।
এই চার কেন্দ্র হল- আজিমপুর গার্লস কলেজ, শেখ বোরহান উদ্দিন কলেজ, সরকারি শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজ ও সেন্ট্রাল উইমেনস্ কলেজ।