আহমেদাবাদে বৃহস্পতিবার ভারতীয় বোর্ডের ৮৯তম সাধারণ সভার দিনই চূড়ান্ত হয়েছে প্রধান নির্বাচকসহ আরও দুই নির্বাচকের নাম। চেতনের সঙ্গে নির্বাচক কমিটিতে যুক্ত হয়েছেন অন্য দুই সাবেক পেসার আবে কুরুভিল্লা ও দেবাশিস মোহান্তি।
এই নির্বাচক কমিটি নির্বাচন করেছে ভারতীয় বোর্ডের ক্রিকেট পরামর্শক কমিটি। সাবেক অলরাউন্ডার মদন লালের নেতৃত্বাধীন সেই কমিটিতে আছেন সাবেক পেসার আর পি সিং ও মেয়েদের দলের সাবেক কিপার সুলক্ষনা নায়েক। তাদের সুপারিশের ভিত্তিতে বোর্ড নিয়েছে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত।
টাইমস অব ইন্ডিয়ার খবর, চেতন ও আগারকারকে নিয়ে অনেক ভেবে শেষ পর্যন্ত চেতনকেই বেছে নিয়েছে পরামর্শক কমিটি।
নির্বাচক কমিটিতে উত্তরাঞ্চলের প্রতিনিধিত্ব করবেন চেতন, পশ্চিমাঞ্চলের কুরুভিল্লা ও পূর্বাঞ্চলের মোহান্তি। দক্ষিণাঞ্চলের প্রতিনিধি হিসেবে আগে থেকেই কমিটিতে আছেন সাবেক বাঁহাতি স্পিনার সুনিল যোশি ও মধ্যাঞ্চলের প্রতিনিধি হিসেবে সাবেক পেসার হারবিন্দর সিং।
ভারতের ৫ সদস্যের নির্বাচক কমিটির ৪ জনই এখন পেসার। একজন স্পিনার।
কমিটির মেয়াদ ৩ বছর হলেও ১ বছর পর তাদের পারফরম্যান্স পর্যালোচনা করবে ক্রিকেট পরামর্শক কমিটি।
আগারকার ছাড়াও বিভিন্ন অঞ্চল থেকে এবার নির্বাচক হতে আবেদন করেছিলেন সাবেক বাঁহাতি স্পিনার মানিন্দর সিং, সাবেক কিপার নয়ন মোঙ্গিয়া, সাবেক পেসার রনদেব বোস ও সাবেক ব্যাটসম্যান শিবসুন্দর দাস। তাদের হতাশ হতে হয়েছে এবার।
আগের কমিটির প্রধান নির্বাচক যোশি এবারও কমিটিতে থাকলেও চেতনকে প্রধান নির্বাচক করা হয়েছে কমিটির বাকি সবার চেয়ে টেস্ট বেশি খেলায়। ২৩ টেস্টে ৬১ উইকেট আছে সাবেক এই পেসারের। ১৯৮৬ সালের ইংল্যান্ড সফরে লর্ডসে নিয়েছিলেন ৫ উইকেট, বার্মিংহ্যামে নিয়েছিলেন ম্যাচে ১০ উইকেট। ৬৫ ওয়ানডেতে নিয়েছেন ৬৭ উইকেট। বিশ্বকাপ ক্রিকেট ইতিহাসে হ্যাটট্রিক করা প্রথম বোলার তিনি (১৯৮৭ বিশ্বকাপে)। এছাড়া ওয়ানডেতে আছে একটি সেঞ্চুরিও। ১৯৮৯ সালে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে কানপুরে ব্যাটিং অর্ডারে প্রমোশন পেয়ে চারে নামার পর করেছিলেন ৮৬ বলে অপরাজিত ১০১।
প্রধান নির্বাচক হওয়ার পর সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে চেতন জানান, কাজ দিয়েই নিজেকে প্রমাণ করবেন তিনি।
“ভারতীয় ক্রিকেটকে আবার সেবা করার সুযোগ পাওয়া অনেক বড় সম্মান। আমি কম কথার মানুষ, মুখের কথার চেয়ে আমার কাজই জোর আওয়াজ তুলবে। বিসিসিআইকে ধন্যবাদ সুযোগটি দেওয়ার জন্য।”
ভারতের নির্বাচক কমিটি বাছাইয়ের ক্ষেত্রে কিছু মানদণ্ড অনুসরণ করা হয়। কমিটিতে জায়গা পেতে হলে অন্তত ৭ টেস্ট বা ৩০টি প্রথম শ্রেণির ম্যাচ কিংবা ১০ ওয়ানডে ও ২০টি প্রথম শ্রেণির ম্যাচ খেলতে হয়। এছাড়াও অবসর নেওয়ার পর অন্তত ৫ বছর অতিক্রান্ত হতে হয়। বয়স হওয়া যাবে না ৬০ বছরের বেশি।
নতুন নির্বাচক কমিটির প্রথম চ্যালেঞ্জ হবে ফেব্রুয়ারিতে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজের দল বাছাই করা। দেশের মাটিতে ইংলিশদের বিপক্ষে ৪ টেস্ট, ৫ টি-টায়েন্টি ও ৩টি ওয়ানডে খেলবে ভারত।