বৃহস্পতিবার থেকে মেক্সিকো, চিলি ও কোস্টারিকায় এ টিকাদান কর্মসূচি শুরু হয় বলে বিবিসির এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে।
মেক্সিকোতে এ কর্মসূচি শুরু হয়েছে একটি হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রের প্রধান নার্সকে ফাইজার-বায়োএনটেকের টিকার প্রথম ডোজ দিয়ে।
দেশটি ফাইজারের টিকার যে ৩ কোটি ৪০ লাখ ডোজ কিনেছে, তার মধ্যে প্রথম চালানে বুধবার বেলজিয়াম থেকে এসেছে মাত্র ৩ হাজার ডোজ। বেলজিয়ামেই টিকাগুলো বানানো হয়েছে।
মেক্সিকোর কিছু সময় পরেই চিলি ও কোস্টারিকায়ও ফাইজারের টিকা দেওয়া শুরু হয়।
ওই অঞ্চলের আরেক দেশ আর্জেন্টিনাও আগামী কয়েকদিনের মধ্যেই টিকাদান কর্মসূচি শুরুর চিন্তা করছে; তারা বেছে নিয়েছে রাশিয়ার বানানো টিকা স্পুৎনিককে। বৃহস্পতিবার স্থানীয় সময় সকালে ওই টিকার ৩ লাখ ডোজ আর্জেন্টিনার রাজধানী বুয়েনস আয়ারসে পৌঁছেছে বলে জানিয়েছে বিবিসি।
লাতিনে কোভিড-১৯ এ সবচেয়ে বেশি মৃত্যু দেখা ব্রাজিলে মধ্য ফেব্রুয়ারির আগে টিকাদান কর্মসূচি শুরু হচ্ছে না। দেশটিতে সাম্প্রতিক দিনগুলোতে সংক্রমণের ফের ঊর্ধ্বগতিও দেখা যাচ্ছে।
দেশটির কট্টর ডানপন্থি প্রেসিডেন্ট জাইর বোলসোনারো বলেছেন, তিনি টিকা না নেওয়ার পরিকল্পনা করছেন। বছরের প্রথম ভাগে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার পর শরীরে কোভিড-১৯ প্রতিরোধ ক্ষমতা তৈরি হয়েছে- এমনটাই ধারণা করছেন তিনি।
মেক্সিকোর সরকার জানিয়েছে, তারা ২০২১ সালের প্রথম তিন মাসের মধ্যেই মহামারীর বিরুদ্ধে লড়ে যাওয়া সব স্বাস্থ্যকর্মীকে টিকা দিতে চায়। দেশটিতে এর মধ্যেই ১৩ লাখের বেশি কোভিড-১৯ রোগী শনাক্ত হয়েছে; মৃত্যু ছাড়িয়েছে ১ লাখ ২০ হাজার।
চিলিতে শনাক্ত রোগী ৬ লাখ ছুঁইছুঁই, মৃত্যু ১৬ হাজার ৩০০; কোস্টারিকায় এখন পর্যন্ত রোগী মিলেছে প্রায় ১ লাখ ৬৩ হাজার; মৃত্যু ২ হাজারের সামান্য বেশি।
আর আর্জেন্টিনায় শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ১৬ লাখের কাছাকাছি; মৃত্যু ছাড়িয়ে গেছে ৪২ হাজার ৩০০।