গোপালগঞ্জ সদর থানার ওসি মো. মনিরুল ইসলাম জানান, বৃহস্পতিবার শিশুর পরিবার থেকে থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
এছাড়া এ ঘটনায় বুধবার রাতে শিশু পরিবারের উপ-তত্ত্ববধায়ক মোশররফ হোসেন বাদি হয়ে গোপালগঞ্জ থানায় একটি ইউডি মামলা দায়ের করেছেন বলে জানান এ পুলিশ কর্মকর্তা।
এর আগে মঙ্গলবার বেলা পৌনে ২টার দিকে জেলা শহরের শিশু বাগান এলাকায় সরকারি শিশু পরিবারে এ ঘটনা ঘটে।
মৃত জোবায়ের খান (১২) নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলার পরগাতি গ্রামের ইঞ্জিন খানের ছেলে এবং গোপালগঞ্জ শিশু কল্যাণ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণির ছাত্র ছিল।
পরিবারে দাবি জোবায়েররকে শারীরিক নির্যাতন করে মেরে ফেলা হয়েছে।
মামলার আসামি (১৭) শিশু পরিবারের নিবাসী ও গোপালগঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির ছাত্র বলে জানান জোবারের সেলিনা বেগম।
সাংবাদিকদের তিনি বলেন, “মামলার আসামি শিশু পরিবারের ওই কিশোর র্দীঘদিন ধরে তার মেয়েকে প্রেমের প্রস্তাব দিয়ে আসছিল। ঘটনাটি দুমাস আগে তার ছেলেকে জানানো হলে জোবায়ের ওই ছেলেকে উত্ত্যক্ত করতে নিষেধ করে। এর জেরে ওই কিশোর আমার ছেলেকে মারধরও করেছে।”
নিহত জোবায়েরের বোন বলেন, “শিশু পরিবারের ওই ছেলেটি আমাকে প্রায়ই মোবাইল ফোনের মাধ্যমে প্রেমের প্রস্তাব দিত। কথা বলার জন্য কল করলে আমি অতিষ্ট হয়ে মাযের কাছে মোবাইল দিয়ে দিতাম। দুমাস আগে একদিন জোবায়েরকে বিষয়টা বলি, পরে এনিয়ে ওদের মধ্যে ঝগড়া হয়।”
তবে এ বিষয়ে জানতে চাইলে ওই কিশোর জোবায়েরকে মারধরের কথা অস্বীকার করে বলে, “আমি জোবায়েরের বোনের সঙ্গে আগে কথা বলতাম। জোবায়ের নিষেধ করার পর কথা বন্ধ করে দেই। আমি তাকে মারিনি; ঘটনার দিন আমি স্কুল থেকে এসে জোবায়েরের ঝুলন্ত লাশ নামিয়ে মেঝেতে শুইয়ে দেই।”
গত ২২ ডিসেম্বর মঙ্গলবার বেলা পৌনে ২ টায় গোপালগঞ্জ শহরের শিশু বাগান এলাকায় সরকারি শিশু পরিবারে জোবায়ের খানের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করে।
গোপালগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে ময়নাতদন্ত শেষে বুধবার জোবায়েরের লাশ পরিবারে কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে বলে পুলিশ জানায়।
গোপালগঞ্জ সদর থানার এসআই আব্দুল বারেক বলেন, জোবায়েরের লাশের সুরাতহাল রিপোর্ট তিনি করেছেন। মৃতদেহে কোনো আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি।
ওসি মনিরুল বলেন, ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন অনযায়ী এ ঘটনায় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। ওই শিশু পরিবারের নিবাসীদের নজরদারিতে রাখা হয়েছে।