সুস্থ ও মসৃণ চুলে আগা ফাটার সমস্যা দেখা
দেয় না। চুলের আর্দ্রতা রক্ষায় তেল উপকারী হলেও অনেকেই তেল ব্যবহার করাতে চান না। তাছাড়া
নারিকেল তেল ছাড়া অন্যান্য তেল চুলের ‘ফলিকল’ আবদ্ধ করে দেয় ।
রূপচর্চা-বিষয়ক একটি ওয়েবসাইটে প্রকাশিত
প্রতিবেদন থেকে চুলের আর্দ্রতা রক্ষায় তেলের বিকল্প কয়েকটি প্রাকৃতিক প্যাক সম্পর্কে
জানানো হল।
দই: দই প্রোটিন
ও ক্যালসিয়ামের খুব ভালো উৎস। এতে ভিটামিন এ, পটাশিয়াম ও ম্যাগনেসিয়াম থাকায় তা চুলের
বৃদ্ধিতে সহায়তা করে। দই চুলের রুক্ষতা দূর করতে ও আর্দ্রতা ধরে রাখতে উপকারী। এর প্রদাহ-রোধী
ও অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল উপাদান মাথার ত্বকের খুশকির সমস্যা দূর করতে সহায়ক।
কলা: কলা প্রাকৃতিক
তেল সমৃদ্ধ যা কার্বোহাইড্রেট, ভিটামিন ও পটাসিয়ামের ভালো উৎস। এই উপাদান চুলকে মসৃণ
করতে ও চুলের প্রাকৃতিক স্থিতিস্থাপকতা সুরক্ষিত রাখতে, আগা ফাটা ও ভেঙে পড়ার সমস্যা
দূর করতে, মাথার ত্বক মসৃণ ও খুশকি নিয়ন্ত্রণ করতে সহায়তা করে। এছাড়াও চুলের উজ্জ্বলতা,
শক্ত, ঘনভাব ও নিয়ন্ত্রণ রাখতে ও সূর্যারশ্মি থেকে চুলকে বাঁচাতে কলার মাস্ক উপকারী।
মধু: মধু উজ্জ্বলতা
বাড়াতে সহায়ক। এটা চুলের ফলিকল মসৃণ রাখে ও মলিনভাব দূর করে উজ্জ্বলতা বাড়ায়। এর আর্দ্রতা
রক্ষাকারী গুণ চুলের শুষ্ক ও রুক্ষভাব দূর করে এবং আর্দ্রতা বজায় রাখে। মধু চুলের বৃদ্ধিতে
সহায়ক প্রাকৃতিক উপাদান সমৃদ্ধ। এর প্রাকৃতিক অ্যান্টিসেপ্টিক উপাদান চুল ও মাথার ত্বক
সুস্থ রাখে ও খুশকি দূর করতে সাহায্য করে।
ডিম: ডিম কেবল
চুলের আর্দ্রতাই ধরে রাখে না বরং চুলের আগা ফাটা দূর করে ও মাথার ত্বক কন্ডিশনিং করতে
সহায়তা করে। ডিম প্রোটিন ও বায়োটিন সমৃদ্ধ এবং এটা মাথার ত্বকের প্রয়োজনীয় আর্দ্রতা
ধরে রাখে, চুলের বৃদ্ধিতে সহায়তা করে। চুল শক্তিশালী করে ও চুলের গঠন সুন্দর রাখতে
ভূমিকা রাখে।
ছবির
মডেল: আশা। আলোকচিত্র: রাইনা মাহমুদ। বিন্যাস ও পরিকল্পনা: আলি আফজাল নিকোলাস। সৌজন্যে:
ত্রয়ী ফটোগ্রাফি স্টুডিও
আরও পড়ুন