ক্যাটাগরি

৩৭০ বিলোপের পর কাশ্মীরে প্রথম ভোটে ধরাশায়ী বিজেপি

৩৭০ ধারা বিলোপের মধ্য দিয়ে জম্মু ও কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা কেড়ে নেওয়ার ভারত সরকারের সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করে জেলা উন্নয়ন পরিষদের (ডিডিসি) ভোটের মাঠে নেমেছিল গুপকার জোট। সেই বিরোধিতার পক্ষেই মত দিয়েছেন বেশিরভাগ ভোটার।

ভারতীয় পত্রিকাগুলোতে বলা হয়েছে, কাশ্মীরের ২০টি জেলার এই নির্বাচনে ১৩টি দখল করেছে গুপকার। কাশ্মীরের সব অ-বিজেপি এবং অ-কংগ্রেসি দলকে নিয়ে তৈরি এই জোট একাই জিতেছে ১০০’র বেশি আসন। অন্যদিকে, বিজেপি ৭৪ আসনের বেশি পায়নি।

তবে বিজেপি একক বৃহত্তম দল হিসেবে উঠে এসেছে । আর কাশ্মীরে পিছিয়ে গেলেও জম্মুতে ভাল ফল করেছে দলটি। সেখানে ৬টি জেলায় জয়ী হয়েছে তারা। কিন্তু জম্মুতে জনমত দলের পক্ষে গেলেও, কাশ্মীরে পিছিয়ে পড়ায় যথেষ্টই চিন্তিত বিজেপি নেতারা।

গত বছর অগাস্টে জম্মু ও কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা প্রত্যাহার করে ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার। রাজ্যটিকে দ্বিখণ্ডিত করে জম্মু ও কাশ্মীর এবং লাদাখ নামে দু’টি পৃথক কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল গঠিত হয়। সেইসময় থেকে সেখানে বিরাজ করছে থমথমে পরিবেশ।

তার মধ্যেই এই প্রথম নির্বাচন হল সেখানে। এ নির্বাচনে গুপকার জোটের প্রধান প্রতিপক্ষ বিজেপি; মুখোমুখি টক্কর চলেছে দুই দলে।

আনন্দবাজার পত্রিকা জানায়, ইভিএম-এর পরিবর্তে এবারে কাগজের ব্যালটে হয়েছে ভোট। ২৫ দিন ধরে ৮ দফায় চলেছে ভোটগ্রহণ। তাই ভোট গণনা শেষ হতে সময় লাগছে। কয়েকটি কেন্দ্রের ফল এখনও ঘোষণা হয়নি।

৩৭০ ধারা প্রত্যাহারের পর গুপকার জোটের বহু বড় বড় নেতা দীর্ঘদিন বন্দি ছিলেন। এখনও গৃহবন্দি আছেন অনেকে। তাই নির্বাচনী প্রচারে সে ভাবে দেখা যায়নি তাদের। বিজেপি’ও সেই সুযোগের সদ্ব্যবহার করেছে।

তবে এই নির্বাচনে দু’পক্ষই জয় নিয়ে আত্মবিশ্বাস দেখিয়েছে। একদিকে ওমর আবদুল্লাহ বলেছেন, “মানুষ যে ৩৭০ ধারা বিলোপ ভালোভাবে নেয়নি তা পরিষ্কার হয়ে গেছে। এবার বিজেপি’র চোখ খুলে যাওয়া উচিত।” অন্যদিকে, বিজেপি শিবির বলছে, “প্রধানমন্ত্রীর উন্নয়নের উপর উপত্যকার মানুষের আস্থা আছে।”


কাশ্মীর মামলা সাংবিধানিক বেঞ্চে, সরকারের জবাব তলব

বিশেষ স্বায়ত্তশাসন বাতিল, কাশ্মীরকে কেন্দ্রের শাসনে নিতে ভারতে বিল