শুক্রবার সন্ধ্যায়
৩৬ নম্বর গোসাইলডাঙ্গা ওয়ার্ডে সুরক্ষাসামগ্রী বিতরণ ও মতবিনিময় সভায় সিটি নির্বাচনে
বিএনপি মনোনীত এই মেয়রপ্রার্থী বলেন, “দুর্নীতি ও ভোট ডাকাতির দায়ে প্রশ্নবিদ্ধ নির্বাচন
কমিশন কিভাবে নিরপেক্ষ নির্বাচন করবে সেটা জনমনে প্রশ্ন? সরকার, প্রশাসন, নির্বাচন
কমিশন নিরপেক্ষ না হলে বাংলাদেশে কখনও সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ, অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন সম্ভব
নয়।”
তিনি বলেন, “বর্তমানে
দেশের গণতন্ত্র সংকটে আছে, নির্বাচনী ব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে। দেশে এখন কোনো নির্বাচন
নেই, নির্বাচন-নির্বাচন একটা খেলা হয়। প্রধান নির্বাচন কমিশনার কেএম নুরুল হুদার নেতৃত্বাধীন
নির্বাচন কমিশনের অসদাচরণ ও আর্থিক অনিয়ম ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে দেশের
বিশিষ্ট ৪২ নাগরিক রাষ্ট্রপতি বরাবর আবেদন করেছেন।
“সাংবিধানিক পদে অধিষ্ঠিতদের
বিরুদ্ধে যখন গুরুতর অভিযোগ আসে তখন তা তদন্তের ক্ষমতা একমাত্র সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিলের।
তাই নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ ওঠায় তাদের স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করা উচিৎ।”
নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে
আর্থিক অনিয়ম, দুর্নীতি ও অর্থসংশ্লিষ্ট গুরুতর অসদাচরণের অভিযোগ তুলে এর তদন্ত করতে
রাষ্ট্রপতির কাছে আবেদন করেছেন ৪২ জন নাগরিক। গত শনিবার এক সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়,
১৪ ডিসেম্বর রাষ্ট্রপতির কাছে এই চিঠি পাঠানো হয়েছে।
বৃহস্পতিবার বিকেলে
এক সংবাদ সম্মেলন এসে এসব অভিযোগ ‘ভিত্তিহীন, অসত্য ও অনভিপ্রেত’ বলেছেন প্রধান নির্বাচন
কমিশনার কে এম নূরুল হুদা।
চট্টগ্রামের মতবিনিময়
সভায় নগর বিএনপির সদস্য সচিব আবুল হাশেম বক্কর বলেন, “বর্তমান নির্বাচন কমিশন সরাসরি
আর্থিক অনিয়ম, দুর্নীতি ও অসদাচরণে জড়িয়ে পড়েছে, যা আগে কখনও কোনো কমিশন করেনি। এমনকি
আগে এ রকম দৃষ্টান্ত দেখা যায়নি, যা আগের সমস্ত রেকর্ড ভঙ্গ করেছে। নির্বাচন কমিশন
একটি সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান। কমিশনাররা প্রতিষ্ঠানটির যে গুরুত্ব, তার অবমাননা করছেন।
কমিশনকে কলঙ্কিত করেছেন।”
গোসাইলডাঙ্গা ওয়ার্ড
বিএনপির সভাপতি হুমায়ুন কবির সোহেলের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক আবু সাঈদ হারুনের
সঞ্চালনায় সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন নগর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক এম এ আজিজ, ইয়াছিন চৌধুরী
লিটন, সদস্য কামরুল ইসলাম, কেন্দ্রীয় শ্রমিক দলের উপদেষ্টা শামসুল আলম, নগর বিএনপি
নেতা আব্দুল হাকিম, আব্দুস সবুর, মো. শাহজাহান, বন্দর থানা বিএনপি নেতা আবুল মনসুর,
কাউন্সিলর প্রার্থী মো. হারুন প্রমুখ।