এ ঘটনায় পুলিশ লাঠিচার্জ করে পরিস্থিতি
নিয়ন্ত্রণ করে বলে সদর থানার ওসি রেজাউল ইসলাম খান জানিয়েছেন।
শুক্রবার দুপুরে শহরের ইকবালপুর এলাকার
করিমন নেছা (৫৫) নামে এক বৃদ্ধার মৃত্যুতে এ ঘটনা ঘটে।
হাসপাতালের সহকারী পরিচালক মাহফুজুর
রহমান বলেন, করিমন নেছা মসজিদের দ্বিতীয় তলায় নামাজ পড়তে গিয়ে নিচে পড়ে আহত হন। তার
অবস্থা গুরুতর ছিল। হাসপাতালে আনার সঙ্গে সঙ্গে তাকে ওয়ার্ডে ভর্তি করে চিকিৎসা দেওয়া
শুরু হয়। কিন্তু তার মৃত্যু হলে স্বজনরা জরুরি বিভাগে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করেন।
“পরে ইন্টার্ন চিকিৎসকদের সঙ্গে রোগীর
স্বজনদের সংঘর্ষ হয়।”
সহকারী পরিচালক বলেন, হামলায় সদর উপজেলা
স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা লুৎফর রহমান, চিকিৎসক চিরঞ্জিত, ইন্টার্নি
চিকিৎসক হাবিবুল্লাহসহ পাঁচ চিকিৎসক আহত হন। এছাড়া রোগীর স্বজন শহিদুল্লাহ ও জিহাদ
আহত হন।
নিহত রোগীর ভাতিজা সাইদুর অভিযোগ করেছেন,
হাসপাতালে নেওয়ার পর তার চাচিকে জরুরি বিভাগে ফেলে রাখা হয়। সময় ক্ষেপণ করার পর চিকিৎসক
চিরঞ্জিত এসে রোগী দেখে মৃত ঘোষণা করেন।
“সময়মত রোগী দেখে অক্সিজেন দিলে চাচি
মারা যেতেন না।”
তবে চিকিৎসক চিরঞ্জিত সাংবাদিকদের বলেন,
“রোগীর মৃত্যুতে দায়িত্বে অবহেলার অভিযোগ সঠিক নয়। আমি যথাসময়ে রোগীকে পরীক্ষা-নিরীক্ষা
করেছি। কিন্তু কিছু বুঝে ওঠার আগেই রোগীর স্বজনরা আমার ওপর হামলা চালায় এবং জরুরি বিভাগের
আসবাবপত্র ভাঙচুর করে।”
ওসি রেজাউল ইসলাম খান বলেন, খবর পেয়ে
পুলিশ গিয়ে লাঠিচার্জ করে পরিস্থিতি শান্ত করে। এ সময় আটজন ইন্টার্ন চিকিৎসককে থানায়
নেওয়া হয়। কারও কোনো অভিযোগ না থাকায় তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। পরে বিষয়টি স্থানীয় নেতৃবৃন্দের
মাধ্যমে সমঝোতা করা হয়।