জেলার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার কামারদহ ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান সৈয়দ শরিফুল ইসলাম রতন জানান, বৃহস্পতিবার মোমেনা বেগম (৫০) নামে এই নারী ফিরে আসেন।
মোমেনা গোবিন্দগঞ্জের কামারদহ ইউনিয়নের ঘোড়ামারা গ্রামের আজিজার রহমানের মেয়ে। পাশের পলাশবাড়ী উপজেলার বৈরী হরিণমারী গ্রামের আব্দুল কুদ্দুস আলীর স্ত্রী তিনি।
চেয়ারম্যান শরিফুল বলেন, “মোমেনা মানসিক অসুস্থার কারণে মাঝেমধ্যেই স্বামীর বাড়ি থেকে নিরুদ্দেশ হতেন। প্রায় ১৩ বছর আগে একদিন বের হওয়ার পর তার আর খোঁজ মেলেনি।
“নেপালের ‘মানবসেবা আশ্রম পরিবার’ নামে একটি সংগঠনের কর্মীরা তাকে বৃহস্পতিবার বাংলাদেশে নিয়ে আসেন।”
চেয়ারম্যান বলেন, “মানবসেবা আশ্রম পরিবারের কর্মীরা মোমেনাকে নেপালের রামনগরে এক জঙ্গলে পেয়েছিলেন। তাদের সেবা-শুশ্রূষায় সুস্থ হন মোমেনা।”
এদিকে মোমেনার স্বামী দ্বিতীয় বিয়ে করায় সেখানে থাকতে পারেননি তিনি।
তাকে পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করা হবে বলে জানিয়েছেন গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রামকৃষ্ণ বর্মণ।
গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আব্দুল লতিফ প্রধানও তার জন্য বাড়ি-ঘরের ব্যবস্থা করা হবে বলে জানিয়েছেন।
মোমেনা এখন কামারদহ ইউনিয়নের ঘোড়ামারা গ্রামে বড় বোনের বাড়িতে আছেন। মোমেনার তিন সন্তান রয়েছে দুই খালার কাছে।