ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল জানায়, জ্যাকসনের কোটিপতি বন্ধু রন বার্কলে মাত্র দুই কোটি ২০ লাখ মার্কিন ডলারে বাড়িটি কিনে নেন।
অথচ, প্রায় দুই হাজার সাতশ একর জমির ওপর তৈরি বাড়িটি ২০১৫ সালে বিক্রির জন্য যখন তালিকাভুক্ত করা হয় তখন সেটির দাম চাওয়া হয়েছিল ১০ কোটি মার্কিন ডলার।
বিবিসি জানায়, তারপর থেকে বাড়িটির দাম কয়েকবার ওঠানামা করেছে। গত বছর সেটি সর্বনিম্ন তিন কোটি ১০ লাখ মার্কিন ডলারে বাজারে তালিকাভুক্ত করা হয়।
১৯৮৭ সালে জ্যাকসন নিজে ১ কোটি ৯৫ লাখ মার্কিন ডলারে বাড়িটি কিনেছিলেন। খ্যাতির চূড়ায় থাকার সময়ে তিনি পরিবার নিয়ে এই বাড়িতেই বসবাস করতেন।
বাড়িটি কেনার পর তিনি সেটিকে বিনোদনকেন্দ্রে পরিণত করেছিলেন। সেখানে শিশুদের নানা ধরনের খেলাধূলার ব্যবস্থা এবং একটি চিড়িয়াখানা আছে।
যদিও নব্বই দশক ও তার পরবর্তী সময়ে নেভারল্যান্ড ঘিরে মাইকেল জ্যাকসনের বিরুদ্ধে শিশু যৌন হয়রানির বেশ কয়েকটি অভিযোগ উঠে এবং ওই বাড়িতে নানা রকম তদন্ত চলে।
সান্তা বারবারার প্রসিকিউটরদের অভিযোগ, জ্যাকসন অল্পবয়সের বালকদের গ্রুমিংয়ের জন্য নেভারল্যান্ডকে ফ্যান্টাসি ওয়ার্ল্ড হিসেবে ব্যবহার করতেন। যদিও জ্যাকসন সবসময়ই তার বিরুদ্ধে উঠা ওইসব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
১৩ বছরের এক বালককে যৌন হয়রানির অভিযোগে ২০০৫ সালে জ্যাকসনের বিরুদ্ধে বিচার চলেছিল এবং তিনি ওই মামলায় পরে খালাস পান।
ওই মামলায় খালাস পাওয়ার পর জ্যাকসন আর নেভারল্যান্ডে ফিরে যাননি।
চার বছর পর ২০০৯ সালের জুনে লস অ্যাঞ্জেলেসের আরেকটি বাড়িতে মারা যান জ্যাকসন।
জ্যাকসনের মৃত্যুর পরে নেভারল্যান্ডের নতুন নামকরণ হয় ‘সিকামোর ভ্যালি র্যাঞ্চ’। সেখানে তারপর বেশি কিছু সংস্কার কাজও হয়।