‘চলো যাই সিনেমায়’ শ্লোগানে শনিবার সকালে জেলা
শহরের ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী সাংস্কৃতিক ইনস্টিটিউট অডিটোরিয়ামে তিন দিনের এ উৎসব শুরু হয়।
উদ্বোধন করেন জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ক্য শৈ হ্লা মারমা।
উৎসবের সমন্বয়ক আসমা আক্তার লিজা বলেন, এবার
তারা মোট ৩৫ দেশের ৭১টি শর্ট ফিল্ম দেখাবেন। তাছাড়া প্রতিদিন সন্ধ্যায় পূর্ণদৈর্ঘ্য
বাংলা চলচ্চিত্র ও একটি মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক চলচ্চিত্র দেখানো হবে।
উৎসবের শুরুতে ৩১টি মঙ্গলপ্রদীপ জ্বালানো হয়।
১১টি ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর শিল্পীদের অংশগ্রহণে পরিবেশন করা হয় বাংলা ও ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর
১১টি ভাষায় একটি দেশাত্মবোধক গান।
চলচ্চিত্র নির্মাতা মশিউর রহমান উদ্বোধন অনুষ্ঠানে
বলেন, পাহাড় ও সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্যের জায়গা হিসেবে এবার বান্দরবানে উৎসব করা হচ্ছে।
এটি উৎসবের বিকেন্দ্রীকরণ। সবকিছু ঢাকায় হওয়া উচিত না।
তিনি বলেন “শিল্পের সব শাখা যেখানে এসে মিলিত
হয় সেটা চলচ্চিত্র। চলচ্চিত্রের যে শক্তি, যেকোনো ভাষার মানুষ শব্দ না থাকলেও শুধু
চিত্র দেখে সম্পর্কযুক্ত হতে পারে।
“পৃথিবীর যেকোনো মানুষ যেকোনো চলচ্চিত্রের সঙ্গে
যুক্ত হতে পারে।”
সিনেমা বাংলাদেশের সভাপতি তরুণ নির্মাতা হেমন্ত
সাদিক বলেন, “উৎসবে ৩৫ দেশের এমন কিছু সিনেমা দেখার সুযোগ হবে যা থেকে একটি শিশু পড়ালেখার
চেয়ে বেশি জ্ঞান অর্জন করতে পারবে। পৃথিবীর অনেক দেশ সম্পর্কে জানতে পারবে।”
করোনাভাইরাসের কারণে এবার কিদেশি চলচ্চিত্র শিল্পী-নির্মাতাদের
আনা হয়নি জানিয়ে তিনি বলেন, তবে দেশের যেসব নির্মাতার ছবি নির্বাচিত হয়েছে তারা সবাই
উপস্থিত হয়েছেন।