শনিবার সকালে ডিএনসিসির
অঞ্চল-১ এর প্রকৌশল বিভাগের কার্যসহকারী সোলায়মান কবীর উত্তরা পশ্চিম থানায় জিডি করেন।
ডিএনসিসি জানিয়েছে,
গত অগাস্টে ১২ কোটি টাকা ব্যয়ে উত্তরার ১৫টি রাস্তার নির্মাণকাজ হয়। ওয়াসার ঠিকাদার
তিনটি রাস্তা খোঁড়ার অনুমতি চায়। কিন্তু সম্প্রতি উন্নয়নকাজ শেষ হওয়ায় রাস্তা কাটার
অনুমতি দেওয়া হয়নি।
ওয়াসার ‘ঢাকা ওয়াটার
সাপ্লাই নেটওয়ার্ক ইমপ্রুভমেন্ট প্রজেক্ট’র অধীনে পানি সরবরাহ লাইন স্থাপনের জন্য এসব
রাস্তা কাটার অনুমতি চেয়েছিল ঠিকাদার।
ডিএনসিসির জিডিতে বলা
হয়েছে, ডিএনসিসির ১ নম্বর ওয়ার্ডের উত্তরা ৭ নম্বর সেক্টরে নতুন উন্নয়ন করা ৯/বি, ১৩
ও ৩৪ নম্বর সড়ক শনিবার বিনা অনুমতিতে খোঁড়া হয়েছে। ঢাকা ওয়াসার নিয়োজিত ঠিকাদার রাস্তা
খুঁড়ে ভূ-গর্ভস্থ পানির লাইন স্থাপনের কাজ করছে। এতে ডিএনসিসি রাজস্ব আয় থেকে বঞ্চিত
হচ্ছে। জনসাধারণ ও যানবাহন চলাচলে বিঘ্ন ঘটছে।
জিডির বিষয়টি নিশ্চিত
করে উত্তরা পশ্চিম থানার ওসি তপন চন্দ্র সাহা রাতে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন,
চীনের একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ওয়াসার পানির লাইন স্থাপনের কাজ করছিল। তাদের বিষয়ে
জিডি করা হয়েছে।
“ডিএনসিসি বলছে ওই
প্রতিষ্ঠান সিটি করপোরেশন থেকে অনুমতি নেয়নি। এ কারণে করপোরেশন রাজস্ব হারাচ্ছে, পাশাপাশি
রাস্তা কাটার কারণে যানবাহন এবং জনসাধারণের চলাচলে সমস্যা হচ্ছে। রাজস্বের ব্যাপারে
আমাদের কিছু করার নেই। বাদবাকি অভিযোগ আমরা খতিয়ে দেখব।”
ঢাকা ওয়াটার সাপ্লাই
নেটওয়ার্ক ইমপ্রুভমেন্ট প্রজেক্টের পরিচালক আখতারুজ্জান দাবি করেছেন, রাস্তা খোঁড়ার
বিষয়ে উত্তর সিটি করপোরেশনের সঙ্গে আলোচনা হয়েছিল, তারা মৌখিক অনুমতিও দিয়েছিল।
“আমি যতদূর জানি মৌখিকভাবে
অনুমতি দিয়েছিল। আজকে হয়তো আরেক গ্রুপ ওই জায়গায় গেছে, আগে যারা অনুমতি দিয়েছে তাদের
সঙ্গে সেভাবে কমিউনিকেশন ছিল না। এখন বিষয়টি সমাধানের দিকে যাচ্ছে। জিডি করলে এখন আর
কি করা যাবে?”
আক্তারুজ্জামান বলেন,
সিটি করপোরেশন অনেক উন্নয়ন কাজের জন্য যথাসময়ে রাস্তা কাটার অনুমতি দেয় না। এ কারণে
অনেক সময় কাজ শেষ করা যায় না।
“আমাদের প্রজেক্টগুলোও
তো সময়মতো শেষ করতে হবে। আমরা আবেদন করেছি কিন্তু সময় মতো অনুমতি দেয়নি। এ কারণে হয়তো
ঠিকাদার রাস্তা কেটে ফেলেছে।”
জানতে চাইলে ডিএনসিসির
প্রধান প্রকৌশলী ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আমিরুল ইসলাম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন,
সড়ক খনন নীতিমালা অনুযায়ী ওই প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা করা হবে।
“কন্ট্রাকট, সাব কন্ট্রাক্টর
অনেক সময় নীতিমালা মেনে চলে না। তারা মনে করে তাদের কাজ শেষ হলেই হল। এখন ওই রাস্তার
জন্য আমাদের ওয়ানস্টপ সেলে আসবে। সেখানে জয়েন্ট ভেরিফিকেশন হবে। নীতিমালা অনুযায়ী তাদের
পেনাল্টি করা হবে।”